পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: হাডকো থেকে পাটুলি পর্যন্ত ইএম বাইপাসের ১৫ কিলোমিটারের মতো অংশ নতুনভাবে সম্প্রসারণ করা এবং মসৃণ ভাবে তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছিল কেএমডিএ। ইতিমধ্যেই কেএমডিএ-র হাত থেকে বাইপাস রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। এদিকে নতুন বছরের শুরুতেই রয়েছে জি-টোয়েন্টি সামিট।
সেকথা মাথায় রেখেই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই উল্টোডাঙ্গা থেকে রুবি পর্যন্ত বাইপাসের রাস্তার ভোল বদলে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। বিদেশি অতিথিদের কাছে বাইপাসকে আরও নান্দনিক করে তুলতে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। রাস্তা, আলো, ফুটপাত সবকিছুতেই লাগবে নতুন ছোঁয়া। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সবুজায়নে।
এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, ‘’বিদেশি অতিথিদের কাছে কলকাতাকে আরও সবুজ করে করে তোলার জন্য এয়ারপোর্ট থেকে শহরে আসার পথে সবুজ বাড়ানো হবে। বাইপাসের ধারে প্রয়োজনীয় এলাকায় যেমন গাছ লাগানো হবে, তেমনই ছোট ছোট পার্ক তৈরি করা হবে বাইপাস লাগোয়া এলাকায়। একইসঙ্গে নতুন বেশ কয়েকটি আইল্যান্ডের সবুজায়ন করা হবে।’’
যেহেতু বাইপাসের ধারে বিভিন্ন হোটেলগুলিতে বিদেশি অভ্যাগতরা থাকবেন এবং সাইন্সসিটিতে ভেন্যু হওয়ার প্রবল, সেকারণেই বাইপাসের সৌন্দর্য্যায়নে জোর দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, হাডকো মোড় থেকে রুবি পর্যন্ত বাইপাসকে চারটে ভাগে ভাগ করে কাজ শুরু হবে। হাডকো থেকে কাদাপাড়া, কাদাপাড়া থেকে চিংড়িঘাটা, চিংড়িঘাটা থেকে সাইন্সসিটি এবং সাইন্সসিটি থেকে রুবি। একইসঙ্গে এই চার পর্যায়ের কাজ চলবে।
বর্তমানে চিংড়িঘাটা থেকে রুবি পর্যন্ত মেট্রোর কাজ চলছে। সেই মেট্রোর পিলারগুলিকেও নান্দনিক ভাবে সাজানো হবে। সেই পিলারে দেওয়া হবে জি ২০ সামিট ও কলকাতার উন্নয়নের পোস্টার। এছাড়া রাস্তার পট হোল মেরামতি এবং উঁচু নীচু জায়গা সমান করে বাইপাসকে মসৃন তৈরি করা হবে। সমস্ত ফুটপাতের মেরামতি এবং রেলিংগুলিকে সারিয়ে নতুন করে রং করা হবে। নীল সাদা এলইডি আলোতে পুরো রাস্তা কভার করা হবে। সব মিলিয়ে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই বিদেশি অভ্যাগতদের আমন্ত্রণ জানাতে সবরকম ভাবে প্রস্তুত রাখা হবে বাইপাসকে।