সেখ কুতুবউদ্দিন: কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ‘ছাত্র সংসদ’। স্কুলেও লাগু হবে শিশু-সংসদ। এবার মাদ্রাসাগুলিতেও শিশু-সংসদ চালু করা হবে। শুক্রবার এই বিষয়ে সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের আধিকারিক ওবাইদুর রহমান বলেন, স্কুলের মতো বিভিন্ন উদ্যোগ মাদ্রাসাগুলিতেও চালু করা হয়।
মাদ্রাসার পড়ুয়াদের জন্য স্কুলের মতো শিশু-সংসদও চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। স্কুলে কী নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে, সেই বিষয়টি দেখে আলোচনার মাধ্যমে এই উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইতিমধ্যে স্কুল শিক্ষা দফতর প্রতিষ্ঠানগুলিকে গাইডলাইন পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই স্কুলগুলি এই গাইডলাইন পাবে বলে জানিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
শিশু সংসদ পড়ুয়াদের একটি পার্লামেন্ট। এর মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্ট, উন্নয়ন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে নিজেদের মতামত জানাতে পারবে। শিশু সংসদের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মধ্য থেকে নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা রয়েছে নাকি সেটাও বোঝা যাবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা নয়, এক ক্লাস থেকে পরবর্তী ক্লাসে উঠলে এবার স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মতো মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদেরও মিলবে সম্মান।
মাদ্রাসাগুলিতেও এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। এক ক্লাস থেকে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে।
সর্বশিক্ষা মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসদের মতোই প্রতিটি ক্লাসে ‘প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে নির্বাচন করা হবে কোনও পড়ুয়াকে। একইভাবে অন্যন্য পড়ুয়া ভোট দিয়ে নির্বাচন করবে খাদ্য, ক্রীড়া, সংস্কূতি ও শিক্ষা ও পরিবেশ মন্ত্রীকে।
প্রতিটি মন্ত্রকের অধীনে একটি স্থায়ী সমিতি থাকবে। তার অধীনে আরও পাঁচ জন করে সদস্য থাকবে। দফতরের কাজে স্থায়ী সমিতিই সক্রিয় ভূমিকা নেবে। বিভিন্ন দফতরের কাজ ঠিক মতো হচ্ছে কি না, তা দেখাশোনা করাই হবে মন্ত্রীদের কাজ। যেমন খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকবে মিড-ডে মিল বা তার রান্না ঘর পরিষ্কার রয়েছে কি না, পানীয় জল বা সাবান রয়েছে কি না, ইত্যাদি দেখা। এ বিষয়ে কোনও গাফিলতি থাকলে তা প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর কথা তার। একইভাবে শিক্ষা ও পরিবেশমন্ত্রী দেখবে, স্কুল এবং এলাকার পরিবেশ ঠিক রয়েছে কি না। দেওয়াল পত্রিকা ঠিক করে বেরোচ্ছে কি না ইত্যাদি।
মাদ্রাসার প্রধানশিক্ষক নুরুল আমীন বলেন, শিক্ষা দফতরের এই উদ্যোগ ভালো। মাদ্রাসাগুলিতে যাতে দ্রুত এই উদ্যোগ কার্যকর করা হয়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকে উদ্যোগ নিতে হবে। এতে পড়ুয়ারাও নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বুঝতে পারবে।