‘পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কে আর বোর্ডে রাখবেন না কর্তারা। সভাপতি হিসেবে বিসিসিআইএ কার্যকাল শেষ সৌরভের। তাকে আইপিএল চেয়ারম্যান হবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সৌরভ নাকচ করে দিয়েছেন।
আইসিসি চেয়ারম্যান হতে পারবেন কিনা সেটা সময় বলবে। তবে তার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন বোর্ডের সমর্থন নিতে হবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। আর এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে একটি বিশেষ সংস্থার বিজ্ঞাপনী প্রচারে এসে অনেক কিছু বললেন বাংলার মহারাজ।
বিসিসিআই সভাপতি এর পর থেকে তাকে সরানোর পর এই প্রথমবার মুখ খুললেন সৌরভ। ভালো-মন্দ নিয়েই যে তার জীবন সেটা জানাতে গিয়ে সৌরভ জানালেন,’ অ্যাডমিনিস্ট্রেটের হিসেবে অনেকগুলো দিন সময় কাটালাম। ভালো মন্দের মধ্যে দিয়ে গেল। তবে প্রশাসনিক জগতে থেকেও আমার কাছে আমার ক্রিকেটীয় কেরিয়ার অনেক বেশি কঠিন ছিল। ‘
অনেকেই বলছেন সৌরভ গাঙ্গুলীকে সরিয়ে দেওয়া হল, কেউ কেউ আবার বলছেন বোর্ডের কর্তারা নাকি জানিয়েছেন যে সভাপতি হিসেবে সৌরভ খুব একটা সফল ছিলেন না। কিন্তু দাদার মুখে অন্য কথা। ‘যতটুকু সময় আমি বোর্ডে কাটিয়েছি সেই সময়টা দারুন ভাবে উপভোগ করেছি ।
তিনটে বছরে ভারতীয় ক্রিকেট অনেক কিছু নতুন পেয়েছে। ‘ বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে নিজের সময়কালের সাফল্যের কথা তুলে ধরতে গিয়ে মহারাজ বলেন,’ কোভিডের মতন কঠিন সময়ে আমরা আইপিএল আয়োজন করেছি। কমনওয়েলথ গেমসে এতদিন ক্রিকেট ছিল না কিন্তু ভারত সহ আরো বেশ কয়েকটি দেশের কথা চিন্তা করে কমনওয়েলথ গেমসে ক্রিকেটের আয়োজন করা হয়েছে।
আমাদের মেয়েরা সেখানে গিয়ে রূপো পেয়েছে। এটা কম সাফল্য কি? ‘ শুধু তাই নয় বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের ভারতীয় দলের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে সৌরভ বলেন,’ ভারতীয় দল বিদেশের মাটিতে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে এই তিনটে বছরে। ভারতীয় ক্রিকেট এক অন্য জগতে প্রবেশ করেছে। ‘
প্রশাসক হিসেবে নিজের সাফল্যের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি সৌরভ এও জানালেন,’ আমার প্রশাসনিক সময়ে এত সাফল্য সত্বেও আমি আমার ক্রিকেটীয় জীবনটাকে আগে রাখব। সেটা একেবারে অন্যরকম একটা দিন ছিল। সারা জীবন কেউ প্রশাসনে থাকতে পারেন না।’ এতকিছুর পরেও আত্মবিশ্বাসী সৌরভ বলছেন,’ প্রত্যেকেই জীবনে পরীক্ষাতে বসতে হয়, প্রত্যাখ্যাত হতে হয়। তবে নিজের জীবনের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে যাওয়াটা ঠিক নয়।’
সৌরভের কথায়,’সবাইকেই একদিন শূন্য থেকে শুরু করতে হয় । প্রশাসক হিসেবে হয়তো আমার সময় শেষ হয়েছে কিন্তু এখান থেকেই হয়তো আমাকে নতুন ভূমিকায় দেখা যেতে পারে।’ এ প্রসঙ্গে তিনি নরেন্দ্র মোদীকেও সামনে টেনে আনলেন। বললেন,’প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিম্বা আম্বানীও এক দিনে সফল হননি ।
তারাও পরিশ্রম করে এই জায়গাটায় উঠে এসেছেন। চিরকাল কেউ প্রশাসক থাকেন না।’ সঙ্গে নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন,’ সেখানেও সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষণ এর মত ক্রিকেটার ছিলেন যারা নেতা হবার যোগ্য।’ ‘