পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: -মেদিনীপুরের সবং থানার অন্তর্গত ছোট্ট একটি গ্রামে বেড়ে ওঠা। কলেজের পড়াশুনা মৌলানা আজাদে। কর্মসূত্রে এখন কলকাতার বাসিন্দা পরীক্ষিত ভূঁইয়া। ভালোবাসেন আ্যডভেঞ্চার।
মহালয়ার দিন সকাল ৭ টার সময় কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর থেকে সাইকেলে কন্যাকুমারীর উদ্যেশে রওনা দিয়েছেন। ৬ টি রাজ্য, ৫২০০ কিলোমিটার বিস্তৃত এই যাত্রা তে এবারও ওনার Save soil এবং Fit India সম্বন্ধে মানুষ কে সচেতন করার চেষ্টা করে যাবেন।পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরল, কর্ণাটক এর উপর দিয়ে পরীক্ষিত ভূঁইয়ার এই যাত্রাপথ।
সাইকেলের প্রতি ভালোবাসা এবং ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা – এই দুটি মিলে মিশে “সাইক্লিং” এর শুরু। অর্থাৎ, নিজের প্রতিদিন এর কাজ এর বাইরেও সাইকেল চালানো, শুধুই সাইকেল চালানোর জন্য।সাইকেল চড়ে ঘুরতে যাওয়া চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। কাজের ফাঁকে একটু সময় পেলেই বেরিয়ে পড়েন সাইকেল নিয়ে।
২০২২ এর মার্চ মাসে বেরিয়ে ছিলেন, সাইক্লিং এর পথ ছিল কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রাম, বেলপাহাড়ি , ঝিলিমিলি, মুকুটমনিপুর, বিষ্ণুপুর, জয়রামবাটি হয়ে আবার কলকাতা। প্রায় ৫৪৪ কিলোমিটার এর যাত্রা শুধুই ঘুরতে যাওয়ার কারণে ছিল না। ওনার চারপাশে ক্রমাগত ঘটে চলা অনেককিছুই ওনার মনে দাগ কাটে। তারমধ্যে ওনাকে সব থেকে বেশি ভাবিয়ে তোলে “মৃত্তিকা দূষণ” , এবং “শারীরিক সুস্থতা”।
হয়তো গ্রাম বাংলার কৃষি প্রধান এলাকায় বড় হওয়ার জন্য মাটির প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে উনি যথেষ্ট পরিমাণে অবগত। দূষণের ফলে ক্রমাগত মাটির গুণমান এর অবক্ষয় এর প্রভাব যে কতটা মারাত্মক হতে পারে সেটা উনি আন্দাজ করতে পারছেন পরিক্ষীৎ।
স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে গেলে দরকার নিয়মিত মনযােগ সহকারে শরীর চর্চা করা। শরীর ঠিক না থাকলে মনও ঠিক থাকে না এবং মন দিয়ে কোন কাজও করা যায় না।
ভ্রমণ ও সাইক্লিং এর সঙ্গে , ওনার নিজের মতো করে প্রচার ও প্রসার করার চেষ্টা করেন।যদি একটি মানুষ ও এর মাধ্যমে সচেতন হন সেটাও ওনার প্রাপ্তি। পরিক্ষীৎ বলছেন এই বিষয় এ আপনাদের যে কোনো পরামর্শ আমার এই যাত্রাপথ কে সহজ করে তুলতে পারে।