পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আজ মহালয়া, পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের শুরু। ভোরের আলো ফুটতেই ঘাটে ঘাটে শুরু হয়েছে তর্পণ। ভোর থেকেই শুরু হয়েছে পিতৃপুরুষের উদেশ্যে জলদান।
মহালয়া তিথিতে যারা পিতৃ-মাতৃহীন তারা তাদের পূর্বপূরূষের স্মরণ করেন, পূর্বপূরুষের আত্নার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেন । সনাতন ধর্ম অনুসারে এই দিনে প্রয়াত আত্নাদের মর্ত্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়, প্রয়াত আত্নার যে সমাবেশ হয় তাহাকে মহালয় বলা হয় । মহালয় থেকে মহালয়া । যে মহান আলয় তাঁরা আছেন সেখান থেকে আজ তাঁরা আসেন সন্তানের হাতে জল পেয়ে তৃপ্ত হন।পিতৃপক্ষের ও শেষদিন এটি।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় ভোরবেলা স্ত্রোত্রপাঠ শুনে দিন শুরু করাটা বাঙালি রেওয়াজ। বছর বছর ধরে এই একটি ঐতিহ্য বাঙালি আজও একইভাবে ধরে রেখেছে। সেই অর্থে দুর্গাপুজোর আভাস মেলে এই মহিষাসুরমর্দিনীর বিশেষ বেতার অনুষ্ঠানেই। আসলে এই দিনটি তর্পণের দিন।
এই দিনের সঙ্গে দুর্গাপুজোর বা অকালবোধনের তেমন কোনও সম্পর্ক নেই। বরং পূর্বপুরুষদের শ্রদ্ধা জানাতেই আজ গঙ্গায় বা অন্য নদীতে অনেকে তর্পণ করেন। মহালয়া তর্পণের মাধ্যমে পিতৃপক্ষের অবসান ঘটায়। সামনে পুজো বলেই তারপর থেকে বাঙালির দেবীপক্ষ শুরু হয়।আশ্বিন মাসে কৃষ্ণপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনায় যে অমাবস্যা আসে তাই মহালয়া—পিতৃপূজা ও মাতৃপূজার সন্ধিলগ্ন।