পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিজেপির নবান্ন অভিযানকে সামনে রেখে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ‘আলুভাতে’ বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিন কুণাল এক সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, সপ্তপদী গল্পে রীনা ব্রাউন বলেছিলেন ‘ডোন্ট টাচ মি’। সেই রকমই আজ শুভেন্দুর মুখে মহিলা পুলিশকে লক্ষ্য করে বলতে শোনা গেল ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’, ‘ইউ আর ফিমেল আই অ্যাম মেল’।
এদিন বিজেপির নবান্ন অভিযাকে ঘিরে দফায় দফায় সংঘর্ষ থেকে ইটবৃষ্টির ঘটনা ঘটে। এদিন সমর্থকদের নিয়ে নবান্নের উদ্দেশে অভিযান শুরু করেছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু মাঝ পথেই পিটিএস মোড় থেকেই শুভেন্দু অধিকারী ও লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে তাদের। ব্যারিকেড ভেঙে যাওয়ারও চেষ্টা করলেই তাদের আটকে দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। শুভেন্দু অধিকারীর আটকের ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করলেন কুণাল ঘোষ। কুণাল বলেন, এত বড় বিরোধী আন্দোলন। কিন্তু বিরোধী নেতার কোনও জোর নেই। আলুভাতে একটা। পুলিশকে টেনে তুলতে হয়নি ভ্যানে। শুভেন্দু নিজে নিজেই হেঁটে উঠে গেলেন। ‘শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা। আরে ভাই তুমি নাকি যুদ্ধ ঘোষণা করছ। পুলিশ ঘিরেছে। বাধা দেবে না? বসবে না?
দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন বাধা দিলে রাস্তায় বসতে হবে। শুভেন্দু অধিকারী পুলিশের গাড়িতে গিয়ে বসলেন। একটা আস্ত আলুভাতে।’
কুণাল শুভেন্দুকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, ছোটোবেলায় বাবার দৌলতে, বড় বেলায় দিদির দয়ায় ঠান্ডা ঘরে বসে নেতা হয়েছেন তিনি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে আন্দোলন এবং পুলিশের সঙ্গে আন্দোলন, এইসব ওঁর ডিকশনারিতে নেই। যতগুলি ক্যামেরা সেখানে ছিল তত মিনিট পুলিশের সামনে দাঁড়ানোর নার্ভ কাজ করল না একজন বিরোধী দলনেতার। কুণাল ধিক্কার জানিয়ে বলেন, বড় বড় আন্দোলনে আমরা যেমন দেখেছি, সেই রকম ভেবেছিলাম বাধা দিলে রাস্তায় বসে পড়বে। সেই রকম কিছু হয়নি। নিজেই হেঁটেই প্রিজন ভ্যানে উঠে গেল।
এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাইটার্স অভিযানের কথা তুলে কুণাল ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাইটার্স বিল্ডিং অভিযানে তাকে চুলির মুঠি ধরে বাইরে বের করা হয়েছিল। সিঙ্গুরের বিডিও অফিস থেকে মারতে মারতে তাঁকে বের করেছিল পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে লড়াই করেছেন মমতা। আর এই বিরোধী দলনেতা তিনজন মহিলা পুলিশ কর্মীকে দেখেই ফুঁস। এ তো লজ্জাবতী লতা। স্পর্শ করতেই নুইয়ে গেল। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা অপদার্থ। এর ভরসায় বিজেপি লড়াই করতে নেমেছে।