ওয়াশিংটন, ১৩ জুন: ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধের ইসরাইল-হামাস উভয়ই যুদ্ধাপরাধ করেছে। এমনটাই জানাল রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল এক রিপোর্ট। একই সঙ্গে গাজায় ইসরাইলের হামলার কারণে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। আন্তার্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইল-হামাস হামলা ও এরপর গাজায় নেতানিয়াহু বাহিনীর পাল্টা হামলা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের কমিশন অব ইনকোয়ারি (COI) বুধবার দুটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তিনটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ সংস্থার সমন্বয়ে সিওআই গঠিত। এ তদন্তে কমিশনকে কোনো সহযোগিতা করেনি ইসরাইল।
রিপোর্টে হামাসের বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা চালানো’ এবং তাদের ‘হত্যা ও ইচ্ছাকৃত খুনের’ অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ‘নির্যাতন, অমানবিক ও নিষ্ঠুর আচরণ’ এবং ইসরাইলের জনবহুল এলাকায় নির্বিচার রকেট হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি ইসরাইল বিরোধী পক্ষপাত বলে তারা প্রত্যাখ্যান করেছে। হামাস এনিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে মানুষকে অভুক্ত রাখা, হত্যা বা ইচ্ছাকৃত খুন, বেসামরিক জনগণ ও তাদের বিভিন্ন স্থাপনায় ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালানো, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা, যৌন সহিংসতার মতো অভিযোগ আনা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণকে সামষ্টিক শাস্তি দিয়েছে ইসরাইল।
আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সভায় রিপোর্টটি নিয়ে আলোচনা হবে। রাষ্ট্রসংঘের সংগ্রহ করা এধরনের তদন্ত রাষ্ট্রসংঘে কখনো কখনো যুদ্ধাপরাধের বিচারের ভিত্তি হয়ে ওঠে। ইউএন-এর রিপোর্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (ICC) জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।