গাজা, ১৭ মে: হামলার তীব্রতা যতই বাড়াচ্ছে ইসরাইল, ততই প্রতিরোধ গড়ে তুলছে হামাস। ফিলিস্তিন স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর পরিকল্পিত প্রতিরোধের মুখে নাস্তানাবুদ ইসরাইলি বাহিনী। হামাসকে নির্মূল করতে গিয়ে পাল্টা বিপদে পড়েছে ইহুদি সেনারা। নির্মূল তো দূরের কথা, হামাসের প্রতিরোধ ব্যবস্থাই ভাঙতে পারছে না সেনারা। উপত্যকার উত্তর থেকে দক্ষিণ- সব প্রান্তেই তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে তারা। এদিকে হামাসকে নির্মূলের নামে ইসরাইলি বাহিনী রাফার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের উত্তর গাজায় ভয়াবহ হামলা শুরু করেছে। গাজা উপত্যকার উত্তর অংশেও জোরদার হামলা চালাচ্ছে ইহুদি সেনারা। বৃহস্পতিবার থেকে এই অঞ্চলে হামলা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। হামলার ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনিদের জীবন।
জানা গিয়েছে, ইসরাইলি হামলা থেকে জীবন বাঁচাতে গাজার বহু বাসিন্দা আশ্রয় নেয় রাফায়। শহরটি হয়ে ওঠে গাজার বাসিন্দাদের লাইফলাইন। কিন্তু সেখানেও ইসরাইলি সেনারা ব্যাপক হামলা শুরু করলে অশান্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে অন্তত সাড়ে ৫ লাখের বেশি উদ্বাস্ত ফিলিস্তিনি রাফাহ শহর ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। একের পর এক বিস্ফারণের আঘাতে কেঁপে উঠছে গাজা উপত্যকা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান উপেক্ষা করে গাজার রাফায় অভিযানে নেমে মহাবিপদে পড়েছে ইসরাইল। হামাসকে নির্মূল করে ইসরাইলি সেনারা রাফাহ ছাড়বে বলে নেতানিয়াহু ঘোষণা দিলেও, পদে পদে হামাসের পরিকল্পিত চোরাগোপ্তা হামলায় নাস্তানাবুদ আআইডিএফ। উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকায় ইসরাইলি সেনাদের অবস্থান সবচেয়ে কোণঠাসা। অন্যান্য অংশেও শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন হামাস যোদ্ধারা। টানেল, বিধ্বস্ত ভবন আর গোপন বাঙ্কার থেকে চলছে পাল্টা জবাব। ইসরাইলি সেনারা রাফায় প্রবেশের পরই পুনরায় নিজেদের শক্তির জানান দিচ্ছে গোষ্ঠীটি। গত কয়েকদিনে প্রকাশ করেছে শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ক ধ্বংসের বহু ছবি। প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই হামাসের অস্তিত্ব নির্মূলের দাবি করেছিল তেল আবিব। তবে ইসরাইল যে তাদের কিছুই করতে পারেনি তা স্পষ্ট।