গাজা, ৮ মে: সোমবারই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে হামাস। তবে এবিষয়ে টু শব্দ করেনি তেল আবিব। ইসরাইলের নীরবতাকে এবার হুঁশিয়ারি দিল হামাস। বন্দিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির এটাই শেষ সুযোগ বলে সাফ জানাল হামাস গোষ্ঠী। মিশরের রাজধানী কায়রোতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনাই একথা জানিয়েছে তারা। হামাসের এক কর্তা জানিয়েছেন, হামাসের প্রতিনিধি দল প্রাথমিকভাবে কাতার থেকে মিশরের রাজধানীতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছিল। তবে পরে কায়রো যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরই তাঁর সাফ বক্তব্য, “ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর রাফায় আক্রমণের হুমকি দিয়েছেন। এর মানে তিনি এবং ইসরাইলি সেনাবাহিনী বন্দিদের মৃত্যু চাইছেন। নেতানিয়াহু এবং ইহুদিবাদী বন্দিদের পরিবারের জন্য তাদের সন্তানদের ফিরিয়ে নেওয়ার এটাই হবে শেষ সুযোগ।”
এদিকে, দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে হামাস। দফায় দফায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। এমনকি আন্তজার্তিক মহল থেকেও ইসরাইল-হামাসকে চুক্তিতে সম্মত হতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে সোমবার সেই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে হামাস বলে জানিয়েছে আন্তজার্তিক সংবাদমাধ্যম। এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানি এবং মিশরীয় গোয়েন্দামন্ত্রী আব্বাস কামেলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন এবং তাদেরকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মতির ব্যাপারে অবহিত করেছেন। অন্যদিকে, হামাস সম্মতি জানালেও প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির বিষয়টি এখন ইসরাইলের ওপর নির্ভর করছে। তবে ইসরাইলের পক্ষ থেকে এখনও কোনো বিবৃতি দেয়নি।
প্রসঙ্গত, গত প্রায় সাত মাস ধরে গাজায় লাগাতার হামলা ও গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল। বিশ্বের বেশকিছু দেশ চলমান যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। আন্তজার্তিক মহল থেকে যুদ্ধবিরতি আবেদন জানানো হলেও কর্ণপাত করেনি তেল আবিব। তবে সংঘাতের প্রথম দিকে গত বছরের নভেম্বর মাসে মাত্র সাতদিন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল। সেই সময় যুদ্ধবিরতির সুযোগে উভয়পক্ষ বন্দি বিনিময়ও করেছিল। চলতি সপ্তাহে মিশরের রাজধানী কায়রোতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর আপত্তিতে তা ভেস্তে যায়।