পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভোটের আবহে রক্তাক্ত বিহার। অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা জেডিইউ নেতা সৌরভ কুমার। বুধবার গভীর রাতে পটনার পুনপুন এলাকায় মোটরবাইকে এসে জেডিইউয়ের যুব নেতা সৌরভ কুমারের উপর হামলা চালায় চার-পাঁচজন দুষ্কৃতী। সৌরভের ঘাড়ে ও মাথায় গুলি লাগে। সৌরভের সঙ্গে ছিলেন মুনমুন কুমার নামে তার এক আত্মীয়। আহত মুনমুন কুমার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখা জেডিইউ সমর্থকরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
মাসৌরহি’র এসডিপিও কানহাইয়া সিং বলেন, বুধবার রাত ১২.১৫ নাগাদ এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। মুনমুন কুমারকে সঙ্গে গিয়ে একটি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন সৌরভ। সেই সময় বাইকে করে এসে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। দুজনকেই নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সৌরভের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। মুনমুন কুমারের অবস্থা স্থিতিশীল।
সিনিয়র পুলিশ সুপার রাজীব মিশ্রা জানান, ঘটনার তদন্তে একটি স্পেশাল টিম গঠন করা হয়েছে। কিছু তথ্য আমাদের হাতে এসেছে।
এদিকে, পাটলিপুত্র লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আরজেডি নেতা মিসা ভারতী সৌরভ কুমারের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। বর্ষীয়ান আরজেডি নেতা, দলের মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি বলেন, ক্ষমতায় থেকে দলের নেতাদের যেখানে কোনও নিরাপত্তা নেই, সেখানে সাধারণ মানুষের অবস্থা কি সেটা বোঝা যাচ্ছে। বিহার নিরাপদ নয়। এনডিএ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিহারে আইনি ব্যবস্থা ধসে পড়েছে, দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য হয়েছে উঠেছে রাজ্য।
জেডিইউ নেতা নীরজ কুমার বলেন, সৌরভ কুমারের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। তবে এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতিকরণ করা ঠিক নয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে, শীঘ্রই অভিযুক্তরা ধরা পড়বে।
বিহার কংগ্রেসের সভাপতি অখিলেশ প্রসাদ সিং ঘটনার নিন্দা করে, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।