পুবের কলম প্রতিবেদকঃ পাঁজরে জমে আছে ইতিহাসের পর ইতিহাস। আর সেই সব ইতিহাসকে সঙ্গে করেই শহর কলকাতার অন্যতম প্রাণ কেন্দ্রে জিপিও দেখতে দেখতে পার করে দিল আড়াইশো বছর। মঙ্গলবার জিপিও-র ২৫০ বছর পূর্তিতে একটি নতুন লোগোর উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের চিফ পিএমজি নীরজ কুমার। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন জিপিও-র ইতিহাস।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সময়ে ১৭৭৪ সালে প্রথম পথ চলা শুরু হয়েছিল জিপিওর। একসময় হাতে লণ্ঠন নিয়ে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত রাতের অন্ধকারেই ছুটে বেড়াতো রানার তথা পোস্টম্যান। এমনকি ঘোড়ার পিঠে চড়েও একটা সময় ডাক ব্যবস্থার প্রচলন ছিল। কালের বিবর্তনে আজ সেসব ইতিহাসের পাতায় পুঞ্জিভূত হয়েছে। তারপরেও ইতিহাসকে সাক্ষী রেখে আজও কলকাতার জিপিও হেঁটে চলেছে নতুনের পথে। বেশ কয়েক বছর আগে যবনিকা পতন হয়েছে টেলিগ্রাম পাঠানোর। যদিও তারপরেও আজও প্রযুক্তিকে সঙ্গে নিয়ে ছুটে চলেছে ডাক ও তার বিভাগ নিজেদের ঐতিহ্যকে ধরে রেখেই। সেই কারণেই হয়তো আজও স্পিড পোস্ট একনিমেষেই সকলের মনকে জয় করতে বাধ্য হয়েছে।
প্রযুক্তির হাত ধরেই স্বল্প মূল্যে দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে স্পিড পোস্ট মানুষকে পরিষেবা দিয়ে চলেছে সেই ইতিহাসকে সঙ্গে নিয়েই। যদিও এই জিপিও শুরু হয়েছিল প্রথমে বর্তমান কলকাতার হেস্টিংসে এরপর বর্তমানে বিবাদীবাগের যেখানে জিপিও বাড়িটি আমরা দেখি সেখানে উঠে আসে স্থায়ীভাবে। তবে সেদিনের হেস্টিংস-এর জিপিও থেকে আজকের জিপিওতে উঠে আসা এক বিরাট ইতিহাস। সেই ইতিহাসকে সঙ্গে নিয়েই কলকাতা জিপিও পা রাখলো আড়াইশো বছরে।
পশ্চিমবঙ্গের চিফ পিএমজি নীরজ কুমার জানান, ১৮৬৮ সালে জিপিও-র জিপিও-র এই বিল্ডিংটা তৈরি হয়েছিল। আপনারা জানেন, এখানে আগে পুরনো ফোর্ট উইলিয়াম ছিল। ওই জায়গাকে সেরুম ভাবেই রাখা হয়। কিন্তু জিপিও অন্যান্য বিভিন্ন বিল্ডিংয়ে চলতে থাকে। সরকারি অফিসেও স্থানান্তর হয়। এসপ্ল্যানেড হাউসেও যায়। এভাবেই চলতে চলতে ১৮৫৪ এই বিল্ডিং তৈরি করা শুরু হয় এবং ১৮৫৮ সালে বিল্ডিং তৈরি হয়ে যায়। ১৮৫৮-এ তৈরি হওয়া এই বিল্ডিংয়ের ১৫০ বছর পূর্তি হয় ২০১৮ সালে। তবে জিপিও তৈরি হয়েছিল ১৭৭৪ সালে। তার ২৫০ বছর পূর্তি হল আজকে।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। অনেক সময়েই অভিযোগ ওঠে ভোটার কার্ড সঠিক সময় পৌঁছায়নি। এই প্রসঙ্গে নীরজ কুমার বলেন, যদি কারুর ঠিকানা সঠিক থাকে তাহলে আমাদের সিস্টেম এতটাই স্ট্রং যে সময়মত পৌঁছে দেওয়া সম্ভব গুরুত্বপূর্ণ নথি। ২৫ লক্ষ ভোটার কার্ড বুক হয়েছে যার মধ্যে ইতিমধ্যেই ১৫ লক্ষ নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটা রেকর্ড পোস্ট অফিসে বুক করা হয় তারপর পোস্টম্যান তা ডেলিভার করতে যান। এতে কিছুটা সময় লাগে।