পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ চ্যান্সেলর বেছে নেওয়ার আগে সংসদীয় নির্বাচন হয়ে গেল জার্মানিতে। দেশটির বুন্দেসটাগ বা সংসদের ৭৩৫টি আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলল। তবে প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গিয়েছে– জাতীয় নির্বাচনে অল্পের জন্য হেরে গেছে বিদায়ী চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেলের দল। অল্প ব্যবধানে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নকে (সিডিইউ) হারিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছে মধ্য বামপন্থী সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এসপিডি)। নির্বাচনে এসপিডি পেয়েছে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট (২০৬টি আসন)। অন্যদিকে ২৪ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়েছে মের্কেলের সিডিইউ ও এর শরিক দল (১৯৬টি আসন)। তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও দলগতভাবে ভোটে সবচেয়ে ভালো ফল করেছে গ্রিন পার্টি। তারা পেয়েছে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট যা দলটির ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি। এছাড়া এফডিপি পেয়েছে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। এখন সরকার গঠন করতে হলে একটি জোট গঠন করতে হবে। এসপিডি দলের নেতা ওলাফ স্কোলজ অবশ্য বলেছেন– সরকার গঠনে তার দল ভোটে স্পষ্ট ম্যান্ডেট পেয়েছে। সমর্থকরা ব্যাপক উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ওলাফ স্কোলজকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। পরে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন– ভোটাররা একটি ‘বাস্তবধর্মী সরকার’ গঠনের দায়িত্ব দিয়েছে তাঁকে। অন্যদিকে মের্কেলের পছন্দের প্রার্থী আরমিন লাশেট বলেছেন– সবচেয়ে বেশি ভোট পেলেই জয়ী হওয়া যাবে না। পুরো বিষয়টি এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও সমর্থনের ওপর নির্ভর করছে। কারণ কেউই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এখন একটি জোট সরকার গঠনের চাবিকাঠি রয়েছে গ্রিনস এবং এফডিপির হাতে। এই দুই দল যার সঙ্গে হাত মেলাবে তারাই সম্ভাব্য সরকার গঠন করবে। তবে তাদেরকে এক ছাদের নিচে আনাই এখন বড় দুটি দলের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ। জোট সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ছো ট এই দল দুটিই ৩০ বছরের কম বয়সী জার্মান নাগরিকদের পছন্দ। সব মিলিয়ে এখন জটিল আকার ধারণ করেছে এই নির্বাচনের ফল। তবে এটা স্পষ্ট যে– একটি জোট সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত কোথাও যাচ্ছেন না বিদায়ী চ্যান্সেলর মের্কেল।
ফলাফলের ভিত্তিতে বলাই যায়– জার্মানিতে সরকার গঠন করতে চলেছে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টি। আর দলটির নেতা ওলাফ স্কোলজ হচ্ছেন সম্ভাব্য চ্যান্সেলর। তিনিই হবে জার্মান চ্যান্সেলর মের্কেলের উত্তরসূরী। তবে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। কারণ– খুব বেশি পিছিয়ে নেই মের্কেলের সিডিইউ পার্টি। যেকোনও মুহূর্তেই রাজনৈতিক হিসাবনিকেশ বদলে যেতে পারে। নির্বাচনে কোনও বড় দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেনি। একটি নতুন জোট গঠিত হতে কয়েকমাস সময় লাগতে পারে। যে জোটই ক্ষমতায় যাক তাতে গ্রিন পার্টি ও এফডিপি অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ভোটের পর অন্যান্য প্রার্থীদের সঙ্গে গোলটেবিল আলোচনায় বসবে বিজয়ী দল।