পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার দ্বিতীয় দিন পশ্চিম ইম্ফলের সেকমাই গ্রাম থেকে সকাল সকাল যাত্রা শুরু করেন রাহুল গান্ধি। মণিপুরে দু’টি জনসভা করেন রাহুল। পাহাড়ের মানুষের জন্য ন্যায়ের আশায় কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রায় শামিল হন মণিপুরের হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ডস।
অজয় এডওয়ার্ডসের ন্যায় যাত্রায় অংশ নেওয়াকে কেন্দ্র করে পাহাড়ে নতুন করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিজেপি ছেড়ে পাহাড়ের আমজনতা কংগ্রেসের দিকেই ঝুঁকছে কি না নতুন করে সেই প্রশ্ন ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছেছে। বিজেপিতে বীতশ্রদ্ধ পাহাড়ের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই নতুন জোটসঙ্গী খুঁজছে। দাবি অজয় এডওয়ার্ডসের। তিনি বলেন, ‘আমি এখনও কংগ্রেসে যোগ দিইনি। রাহুল গান্ধি সমস্ত রাজনৈতিক দলকেই ন্যায় যাত্রায় অংশ নেওয়ার ডাক দিয়েছেন।
পাহাড়ের মানুষ এখনও ন্যায় পাননি। প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিজেপি পাহাড়ের মানুষের জন্য কিছু করেনি। সেই জন্যই রাহুল গান্ধির ন্যায় যাত্রায় অংশ নিচ্ছি।’
ইম্ফল পশ্চিমের সেকমাই থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে রাহুলের দ্বিতীয় জনসংযোগ যাত্রা। জনসাধারণের উদ্দেশে এ দিন রাহুল বলেন, তিনি হিংসা-কবলিত ‘মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চান।’ আগের বারের মতোই এ দিনও সকালেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সেবা দলের কর্মীরা। তারপর কুয়াশা ঘন পশ্চিম ইম্ফলের সেকমাই গ্রাম থেকে সকাল সকাল যাত্রা শুরু করেন কংগ্রেস সাংসদ। সেনাপতি, কারঙ হয়ে রাহুল ঢোকেন নাগাল্যান্ড। সেখানকার খুজামা গ্রাউন্ডে নাইট হল্ট করেন রাহুল।
ভারত যাত্রার এই দ্বিতীয় অধ্যায়ে ৬৭ দিন ধরে ১৪টি রাজ্যে যাবেন রাহুল। পেরোবেন ৬ হাজার ৭১৪ কিলোমিটার পথ। মণিপুর, নাগাল্যান্ড, অসম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাত ঘুরে মহারাষ্ট্রে গিয়ে থামবে রাহুল গান্ধির ন্যায় যাত্রা। দু’দফায়, পাঁচদিন ধরে, বাংলার ৭টি জেলার ৫২৩ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা যাবে।
৬৭ দিন ধরে ১৪টি রাজ্যে প্রায় ৭ হাজার কিমি ঘুরবে এই যাত্রা। রবিবার হিংসা-বিধ্বস্ত মণিপুরের থৌবল জেলা থেকে যাত্রা শুরু করেন রাহুল।