পুবের কলম প্রতিবেদক,নদিয়া:
ঘরের ভেতর থেকে এক যুবকের গলার নলিকাটা অবস্থায় ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য। পরিবারের দাবি, চক্রান্ত করে খুন করা হয়েছে। মৃত যুবকের নাম উত্তম প্রামানিক। বয়স আনুমানিক ২৭ বছর। বাড়ি শান্তিপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, উত্তম প্রামানিকের দাদা প্রবীণ প্রামানিক পাশের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের জলেশ্বর তলা এলাকায় বসবাস করেন। গতকাল রাতে মিষ্টির দোকানে কাজে নিয়ে যাবে বলে নিজের বাড়িতে উত্তমকে ডেকে নেয় দাদা প্রবীণ। সেই মতো উত্তম দাদার বাড়িতে চলে যায়। আজ সকালে উত্তম প্রামাণিকের স্ত্রী মুক্তি প্রামাণিক, তার ভাসুরের বাড়িতে স্বামীকে ডাকতে গেলে দেখে বাইরে থেকে ঘরের দরজায় তালা মারা। এরপর আবার সে বাড়িতে চলে যায়। পরবর্তীতে আবারো স্বামীকে ডাকতে গেলে ঘরের জানালা খোলা দেখতে পেয়ে উকি মেরে দেখে উত্তম রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে আছে। চেঁচামেচি করতেই ছুটে আসে স্থানীয়রা। এরপর খবর দেয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখে উত্তমের গলার নলিকাটা। এছাড়াও পেটের বেশ কিছুটা অংশ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় রয়েছে। উত্তম প্রামানিকের শ্বশুরবাড়ির দাবি, বেশ কয়েক বছর ধরেই পারিবারিক অশান্তিতে দ্বন্দ্ব ছিল দুই ভাইয়ের মধ্যে। কিন্তু এই ঘটনা যে ঘটবে তা কখনও ভাবেননি তারা। অন্যদিকে স্ত্রী মুক্তি প্রামানিকের অভিযোগ, তার ভাসুর স্বামীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে চক্রান্ত করে নৃশংসভাবে খুন করেছে। যদিও সকাল থেকেই বাড়ি থেকে পলাতক উত্তম প্রামানিকের দাদা প্রবীণ প্রামানিক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এলাকায়। অন্যদিকে এই খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।