পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : ভিন্ন বর্ণের মেয়ের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কের কারণে খুন যুবক। মেয়ের বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে এই খুনের অভিযোগ উঠেছে। খুনের কথা স্বীকার করেছে দুজনেই। বয়ান অনুযায়ী খুন করে যুবকের দেহ নালায় ফেলে দেওয়ার কথা পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে তারা। ঘটনার পর থেকে এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও এখনও দেহ খুঁজে পায়নি পুলিশ। তেলেঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডি জেলার পাটানচেরু এলাকার ঘটনা। মেয়ের বাবা-মা দুজনেই পুলিশ হেফাজতে।
ঘটনা ক্রমশই জটিলতার দিকে মোড় নিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, খুন হয়েছে গত ৭ অক্টোবর। অভিযোগ দায়ের হয় গত ৯ অক্টোবর। নিহতের বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় এফআইআর দায়ের হয়। অথচ ঘটনার পর থেকে এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও পাটানচেরু পুলিশের কাছে মৃতদেহের কোনও খোঁজ নেই।
গান্ধীনগরের পুলিশ ইন্সপেক্টর এন মোহন রাও জানিয়েছেন, ১৮ বছর বয়সী মৃত যুবকের নাম এস শিবকুমার। নাগারকুরনুল জেলার কোডেরু গ্রামের বাসিন্দা শিবকুমার ১৬ বছর বয়সী এক মেয়ের সঙ্গে প্রণয়ে জড়িয়ে পড়েন। মেয়েটি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী, ভোলপুরের বাসিন্দা।
অভিযুক্তরা পুলিশকে জানিয়েছে, খুনের পর তারা শিবকুমারের দেহ লোয়ার ট্যাংক রোডের বাঁধের কাছে একটি নালায় ফেলে দিয়েছে। রাও জানিয়েছেন, গত দুদিন ধরে তারা দেহ সন্ধান করছে, কিন্তু এখনও খোঁজ মেলেনি।
মেয়ের বাবা-মায়ের বয়ান অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর জোর করে মেয়েকে দিয়ে ফোন করিয়ে শিবকুমারকে তাদের এক বিয়ের অনুষ্ঠানে আসতে বলা হয়। শিবকুমার সেখানে আসা মাত্রই মেয়ের বাবা-মা, তার কাকা তাকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানেই শ্বাসরোধ করে খুন করে শিবকুমারের দেহ লোয়ার ট্যাংক বাঁধের কাছে হোসেনসাগর নালার জলে ফেলে দেয় তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৯ অক্টোবর পাটানচেরু থানার পুলিশ নিহত শিবকুমারের বাবা-মা বালাস্বামী এবং বালেশ্বরম্মার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালাচ্ছে। দুজনেই পাটানচেরুতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। রাও জানিয়েছেন, মৃতদেহ পাওয়া গেলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় একটি হত্যা মামলা নথিভুক্ত করা হবে।
পাটানচেরু থানার পুলিশ এন ভেনুগোপাল রেড্ডি জানিয়েছে, মৃত শিবকুমার ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত। অন্যধর্মের দ্বাদশ শ্রেণির এক মেয়ের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কারণেই এই খুন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। মেয়ের সঙ্গে মেলামেশা করতে বারণ করে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু শিবকুমার সেই কথায় কর্ণপাত না করায় তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা পরিকল্পনা করে মেয়ের বাবা-মা।
প্রথমে শিবকুমারের নিখোঁজের ঘটনা বোলারুম থানায় দায়ের হয়। কারণ ওই এলাকার একটি কারখানাতে কর্মরত ছিল শিবকুমার। পরে সেই মামলাটি পাটানচেরু পুলিশে কাছে হস্তান্তর করা হয়। কারণ শিবকুমার সেখানকার বাসিন্দা ছিল।