পুবের কলম প্রতিবেদক: পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল স্তর থেকে শীর্ষ নেতৃত্ব সব ক্ষেত্রেই ধাপে ধাপে আসছে বদল। আর এই পথে ছাত্র সংগঠনের জন্যও একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। আর এখানেই ছাত্র সংগঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে দল। তথ্য বলছে, ৪০ পার করেও ছাত্রদলের নেতা হয়ে থেকে গিয়েছেন অনেকেই। কলেজের গেটে দাঁড়িয়ে আজও তারা ছাত্র রাজনীতি করছেন। পরিবর্তিত তৃণমূলে এবার এমন নেতাদের ছাত্র সংগঠন থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
যতদূর জানা যাচ্ছে, ২৫ পার করে গেলেই আর কাউকে ছাত্রসংগঠনে রাখা হবে না। প্রথমে যুব এবং তারপরে ধাপে ধাপে তারা জায়গা পাবেন তৃণমূল কংগ্রেসের মূল সংগঠনে।
এক্ষেত্রে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের যুক্তি ১৫-তে মাধ্যমিক, ১৭-তে উচ্চ মাধ্যমিক আর কুড়ি বছরেই সাধারণত স্নাতক সম্পূর্ণ করেন যে-কোনও ছাত্রছাত্রীরা। সেক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করতে সর্বাধিক হলে ২৫ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আর সেই কারণেই পঁচিশেই ছাত্রনেতা হওয়ার জন্য বয়সসীমা নির্ধারণ করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। ফলে বছরের পর বছর কলেজে ছাত্রনেতা হয়ে বসে থাকার দিন শেষ হতে চলেছে এবার।
ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবস দুয়ারে কড়া নাড়ছে আগামী ২৮ আগস্ট দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান রয়েছে। তবে ওই দিনটি রবিবার পড়ায় ২৯ আগস্ট মেয়ো রোডে প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান পালন করবে দল।
মনে করা হচ্ছে, ওই সভা থেকেই এই গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদা তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র নেতৃত্বের দায়িত্ব সামলানো তাপস রায়, এ প্রসঙ্গে বলেছেন, কলেজ গেটে দাঁড়িয়ে যাঁরা রাজনীতি করবেন, তাঁরা তরুণ। তাজা ছেলেমেয়েদেরই বারবার সামনে এগিয়ে আসতে বলেছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই একটা আলোচনা হয়েছে যাতে কলেজের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নেতৃত্বে যিনি বা যাঁরা থাকবেন তাঁদের বয়সও নির্দিষ্ট বয়সসীমার মধ্যে হতে হবে।