পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: স্মোক ক্যান কাণ্ডে পুলিশের সন্দেহভাজনের তালিকায় ললিত ঝা। কে এই ললিত? তার কিসের যোগ সংসদ কাণ্ডের সঙ্গে? জানা গেছে, ঘটনার দিনের সংসদের হুলুস্থুলু কাণ্ডের ভিডিয়ো নীলাক্ষ আইচ নামে এক কলকাতার এক যুবকের কাছে পাঠান। ভিডিয়োটি মোবাইলে পাঠিয়ে ললিত নীলাক্ষকে কভারেজ দেখতে বলেন। আর কোনও কথা ললিতের সঙ্গে হয়নি বলে দাবি নীলাক্ষর। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ললিত ঝা থাকতেন কলকাতার বড়বাজারে।
২১৮ নং রবীন্দ্র সরণি এলাকায় এক চিলতে ঘরে ভাড়া থাকতেন তিনি। টেলিভিশনে তার ছবি দেখে ললিতকে শনাক্ত করেন তার পাড়া প্রতিবেশীরা। পাড়ায় তিনি একজন গৃহশিক্ষক বলেই পরিচিত। স্থানীয়দের বাচ্চাদের তিনি পড়ানোর কাজ করতেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বেশি কথা বলতেন না। বেশিরভাগ সময় ঘরের দরজা বন্ধ থাকত।
কিন্তু দেড়বছর ধরে তার ঘর তালা বন্ধ। কোনও খোঁজ নেই। এই আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দাদের কথায়, এই বাড়ির মালিক এখানে থাকেন না। দিল্লিতে থাকেন। ভাড়াটেরা তাকে অন লাইনের মাধ্যমে ভাড়ার টাকা পাঠান। এখন প্রশ্ন উঠেছে, ললিত কি কাজের জন্য এখানে এসেছিলেন। আদতে তিনি কোন রাজ্যের বাসিন্দা? সংসদে কি আরও বড়সড় নাশকতা ঘটাতে চেয়েছিলেন?
বুধবারই সংসদের ভিতর থেকে দুই যুবক ও সংসদ চত্বরের বাইরে থেকে এক যুবক-যুবতীকে আটক করে পুলিশ। সংসদের বাইরে হলুদ স্মোক বম্ব নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল নীলম নামের এক যুবতী ও আনমোল নামক এক যুবক। দূর থেকে তাদের ভিডিয়ো রেকর্ড করছিল এক ব্যক্তি। নীলম ও আনমোলকে গ্রেফতার করা হলেও, যে ব্যক্তি গোটা ঘটনাটি রেকর্ড করছিলেন, তিনি পালিয়ে যান। পরে পুলিশ তাঁকে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ছয়জনের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল। বিগত চার বছর ধরে তাঁরা একে অপরকে চেনে। বেকারত্বের ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই নাকি তাঁরা এই ছক কষেছিল।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। অভিযুক্ত চারজনকে আজ পেশ করা হবে পাতিয়ালা কোর্টে। পলাতক ললিত ঝা। সংসদ কাণ্ডে এই ললিতের কি যোগাযোগ তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।