পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষণ খুব গুরুত্বপূর্ণ, কাজ করতে গিয়ে ভুল করে শুধরে নেওয়া যায়। অবশ্যই ভুল না করাই লক্ষ্য। তবে যে কাজ করে তার ভুল হয়। আপনার মন শিশুর মতো হলে তবেই আপনি শিশুদের সঙ্গে তাদের মতো করে বুঝতে পারবেন। আবার বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে তাদের সঙ্গে, সেই মনোভাব নিয়েই তাদের সঙ্গে মিশতে হবে। কিন্তু আজকাল মানুষ সব কিছু নিয়ে সমালোচনা করে। ছোটদের কবিতা নিয়ে সমালোচনা করছে। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর থেকে স্টুডেন ক্রেডিট বিতরণী অনুষ্ঠান থেকে এই ভাবে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী সরকারের খতিয়ান তুলে ধরে বলেন, রাজ্যের ছেলে মেয়েদের স্বপ্ন থাকে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটতে গিয়ে পড়াশোনার করার। কিন্তু কেউ এটা ভেবে দেখে না, আমাদের ছেলে-মেয়েরাই যে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াচ্ছে, সেটা আমরা ভুলে যাই। বর্তমানে কত সুবিধা হয়েছে। এখন ইন্টারনেটের যুগে সবই সম্ভব। সবই হাতের মুঠোয়। দিল্লি বোর্ডের-এর সঙ্গে এখন আমাদের শিক্ষার মান এক। কন্যাশ্রী-১, কন্যাশ্রী-২, কন্যাশ্রী-৩ সব হয়েছে। তফশিলিদের জন্য শিক্ষাশ্রী, সংখ্যালঘুদের জন্য ঐক্যশ্রী করা হয়েছে। ৮০ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী কন্যাশ্রীর সুবিধা পেয়েছে। এছাড়াও বিবেকানন্দ স্কলারশিপ করা হয়েছে। অন্য ভাষায় স্কুল তৈরি হয়েছে। ২ লক্ষের বেশি অতিরিক্ত ক্লাস তৈরি হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় বাংলা সর্বোচ্চ শিরোপা পেয়েছে। উচ্চ শিক্ষায় যাদবপুর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম সারিতে রয়েছে। স্বাধীনতার ৬৬ বছরে আমাদের ৪৪টা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, এখন আমাদের শাসনকালে ১০ বছরে ৩০ বিশ্ববিদ্যালয়, ৫১টি কলেজ হয়েছে। ১০ বছরে নতুন মেডিক্যাল কলেজ, আইআইটি তৈরি হয়েছে। ২৬টি সিভিল সার্ভিস কোচিং সেন্টার হয়েছে।
আমি চাই আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা আরও ভালো করে পড়াশোনা করুক। তবে তোমরা মনে রেখো এটা তোমাদের জন্মভূমি। তাই সেই জন্মভূমিকে ভুলো না। তোমারা এখানে ফিরে এসো। পজিটিভি আমাদের মনুষ্যত্বকে আরও উন্নতি করে। তার তোমরা যত পজিটিভ থাকবে তোমরা ততই অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে স্কিল ট্রেনিংয়ে ৩০ হাজার চাকরি রেডি আছে।
এদিন নেতাজি ইন্ডোর থেকে ফের কেন্দ্রের সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করেছে কেন্দ্র। বাংলাকে আর্থিভাবে অবরুদ্ধ করতে চাইছে কেন্দ্র সরকার।