পুবের কলম প্রতিবেদক: প্রথমে বাংলাদেশ। পরে গুয়াহাটি। দুটো পরপর ওয়ানডেতে দুটি পাশাপাশি দেশের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি। আর বিরাট কোহলি বোঝালেন তিনিই সেরা। গুয়াহাটিতে দুবার জীবন পেয়েছিলেন। কিন্তু বাকি সময়টায় যে ক্রিকেট খেললেন বিরাট তা সত্যিই দেখার মত। বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে নিজের ৪৫ তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটিও পূর্ণ করে ফেললেন বিরাট কোহলি। আর গড়ে ফেললেন একাধিক রেকর্ড। এই মুহূর্তে ঘরের মাঠে তাঁর ওয়ানডে সেঞ্চুরির সংখ্যা ২০টি। ছুঁয়ে ফেললেন মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেন্ডুলকরকে। শচীনেরও ঘরের মাঠে ওয়ানডে সেঞ্চুরির সংখ্যা ২০টি। কিন্তু একটি হিসেবে বিরাট শচীনকেও ছাপিয়ে গেলেন। ঘরের মাঠে ২০টি সেঞ্চুরি করতে শচীন খেলেছিলেন ১৬৪ টি ওয়ানডে। সেখানে মাত্র ১০২ টি ওয়ানডে খেলেই ঘরের মাঠে ২০টি সেঞ্চুরির মালিক হয়ে গেলেন। তবে একটি বিষয়ে শচীনকেও ছাপিয়ে গেলেন বিরাট। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শচীনের সেঞ্চুরির সংখ্যা ছিল আটটি। গুয়াহাটিতে সেঞ্চুরি করার পর বিরাট তা ছাপিয়ে গেলেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বিরাটের সেঞ্চুরির সংখ্যা ৯টি।
ওয়ানডেতে বিরাটের সংগ্রহ ৪৫টি সেঞ্চুরি। এই মুহূর্তে তিনি দাঁড়িয়ে আছেন শচীনের ঠিক পরেই। শচীনের ওয়ানডে সেঞ্চুরি ৪৯ টি। অর্থাৎ মোট সেঞ্চুরির হিসেবে মাত্র চারটি সেঞ্চুরি দূরে আছেন মাস্টার ব্লাস্টারের থেকে। এদিন মাঠে নেমে প্রথম থেকেই বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে বিরাটকে। শটে ছিল নিজস্ব আভিজাত্য। ৪৭ বলে ধনঞ্জয় ডি’সিলভার বলে ছক্কা মেরে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন। ঠিক তার দুটো বল পরেই উইকেট কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান বিরাট। এরপর তাঁকে আর আটকানো যায়নি। একের পর এক দৃষ্টিন¨ন শট খেলে স্ট্রাইকরেট রোটেট করে গিয়েছেন। ৮০ বলে লং অফে শট খেলে নিজের পয়তাল্লিশ নম্বর ওয়ান ডে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন বিরাট। এরপরও আগ্রাসি বিরাটকে পাওয়া গিয়েছে। ১১৩ রানে ফিরে যখন গেলেন তখন ভারত ৩৬৪ রানে পৌঁছে গিয়েছে।