পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পৃথিবীর রহস্যময় যমজ গ্রহ শুক্র। সেই শুক্রে নাকি অক্সিজেন আছে! কিন্তু এই অক্সিজেনের উৎস কি? নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি শুক্রের বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইডকে ভেঙে অক্সিজেন তৈরি করছে। এই অক্সিজেন বাতাসে মিশছে। গবেষণায় দেখা গেছে, রাতের দিকে এই অক্সিজেনযুক্ত বাতাস বইছে শুক্রের অন্দরমহলে। শুক্র গ্রহের যে দিকটা সূর্যের দিকে মুখ করে রয়েছে, সেখানেই সবচেয়ে বেশি মাত্রায় অক্সিজেন তৈরি হচ্ছে। শুক্রের মাটি থেকে ৬০ মাইল (১০০ কিলোমিটার) উপরে দুটি স্তরের মধ্যে অক্সিজেনের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
পৃথিবীর মতো না হলেও অক্সিজেন অণু মিশে আছে শুক্রের পরিমণ্ডলে। নাসা ও জার্মান অ্যারোস্পেস সেন্টারের যৌথ গবেষণায় ধরা পড়েছে শুক্রের বাতাসে এই অক্সিজেনের অস্তিত্ব। সোফিয়া এয়ারবর্ন অবজার্ভেটরি তার টেলিস্কোপ দিয়ে তথ্য সামনে এনেছে। দেখা গেছে, শুক্র গ্রহের উপরের দুটি স্তরে নানা গ্যাসের মধ্যে রয়েছে অক্সিজেন অণুও। তবে নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো অক্সিজেন নেই শুক্রে, তবে আগামী দিন নিয়ে আশাবাদি বিজ্ঞানীরা। প্রসঙ্গত, পৃথিবীর বাতাসের ২১ শতাংশ হল অক্সিজেন, যা নিঃশ্বাস নেওয়ার উপযোগী।
কিন্তু শুক্রের বাতাস খুবই ভারী ও গাঢ়। সেখানে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণই বেশি প্রায় ৯৬.৫ শতাংশ। বিজ্ঞানীরা আগে দেখেছিলেন, শুক্রে কার্বন ডাই অক্সাইডের স্তরে বেশি মাত্রায় আছে নাইট্রোজেন ও অন্যান্য গ্যাস। কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, শুক্রের পরিমণ্ডলে ভেসে বেড়াচ্ছে অক্সিজেন অণু। ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, শুক্রের বায়ুমণ্ডল খুব ঘন, অ্যাসিডে ভরা। বায়ুর চাপ পৃথিবীর থেকে প্রায় ১০০ গুণ বেশি। এমন পরিমণ্ডলে ঢোকা খুবই বিপজ্জনক।
শুক্রগ্রহের কক্ষে পৌঁছে নানা রকম পরীক্ষানিরীক্ষা করবে ইসরোর শুক্রযান। প্রথমে ঠিক হয়, ১৭৫ কিলোগ্রাম ওজনের যন্ত্রাংশ নিয়ে শুক্রযান যাত্রা শুরু করবে। পরে পরে পে-লোডের ওজন কমিয়ে ১০০ কিলোগ্রাম করা হয়। এই মহাকাশযানে থাকবে ভেনাস এল অ্যান্ড এস-ব্যান্ড এসএআর, ভারটিস (হাই ফ্রিকুয়েন্সি রেডার), ভিটিসি থার্মাল ক্যামেরা, লাইটনিং সেন্সর, সোলার অকুলেশন ফোটোমেট্রি, এয়ারগ্লো ইমেজার, মাস স্পেকট্রোমিটার, প্লাজমা অ্যানালাইজ়ার, রেডিয়েশন এনভায়রনমেন্ট, সোলার সফট এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার, প্লাজমা ওয়েভ ডিটেকটর ইত্যাদি।