পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশের পর এবার গুজরাত। বিধানসভা নির্বাচনের মুখে গুজরাতে কার্যকর হতে পারে ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি।’ সেই লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ নিল গুজরাতের বিজেপি সরকার।
সামনে গুজরাত নির্বাচন। হিন্দুত্বের প্রতিযোগিতায় ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়ছে বিজেপি-আপ। উন্নয়নে কে কার থেকে এগিয়ে সে প্রশ্ন দূরে রেখে কার দল বেশি হিন্দুত্ববাদী সে প্রতিযোগিতা চলছে। নির্বাচন এলে এমন প্রতিযোগিতার হিড়িক বাড়ে। কেবল মন্দির কেন্দ্রিক ইস্যু দিয়ে সব ভোটে বাজিমাত করা যায় না।
তাতে তেমন বিতর্ক হয় না। এমন ইস্যু দরকার, যাতে মুসলিমরা প্রতিক্রিয়া দেবে। গোদি মিডিয়ায় প্রাইমটাইম হবে। সোশ্যাল সাইটে আইটি সেল হিন্দু-মুসলিম বিভাজন করতে পারে। সেসব বিচারে গুজরাত বিধানসভা ভোটের আগে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি গরম খবর সন্দেহ নেই।
জানা গিয়েছে, গুজরাত সরকার হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি গড়তে চলেছে। যার কাজ হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কীভাবে কার্যকর করা যায়, বা কার্যকর করলে তার কী প্রভাব হতে পারে সেটা পর্যালোচনা করা। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি শনিবার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এমন কমিটি গঠনের প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নেতৃত্বে এমন ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে গুজরাত সরকার।
ট্যুইটে গুজারাতের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁদের রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখতে এবং এই বিধির খসড়া প্রস্তুত করতে কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে এই কমিটি কাজ করবে বলেও জানিয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী।
এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির কমিটি তৈরি নিয়ে সুর চড়িয়েছে গুজরাতে বিরোধী দল কংগ্রেস এবং আপ। কোনও রাজ্য সরকার আলাদা করে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে পারে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, ভোটের প্রচারে, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের মতো বিষয়গুলি থেকে নজর ঘোরাতেই এই নতুন পদক্ষেপ করেছে বিজেপি সরকার। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির মতে পদ্মপার্টি যাই করুক না কেন, তাতে তাঁরা বিধানসভা ভোটে আলাদা সুবিধা আদায় করতে পারবে না।