পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ সেন্ট্রাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন ইউনানি মেডিসিন (সিসিআরইউএম) এর উপ-পরিচালক, তবিবা উম্মুল ফজল (১৯৩৪-২০২১) বেশ কয়েক মাস কোভিডের সঙ্গে লড়াইয়ের পর গত ২১ আগস্ট প্রয়াত হন। ভারতের প্রথম মহিলা হাকিম হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করে তিনি স্বাধীন ভারতে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন এবং অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা ও পরামর্শদাতা হয়ে উঠেছিলেন। তবিবা উম্মুল ফজল তাঁর মৃত্যুর কয়েক মাস আগে পর্যন্ত ইউনানী মেডিসিন এবং এর কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণার আত্মমগ্ন ছিলেন।
তৎকালীন অন্ধ্রপ্রদেশের মাহবুবনগরে জন্মগ্রহণ করেন উম্মুল ফজল। সাত বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চম । তিনি তার ভাইবোনদের মধ্যে একমাত্র ছিলেন যিনি পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছিলেন। তাঁর বাবা, হায়দরাবাদের জামিয়া নিজামিয়ার একজন মৌলবি ছিলেন।গার্লস হাইস্কুল হুসাইনি আলম থেকে ম্যাট্রিক পাস করার পর, উম্মুল ফজল ১৯৫১ সালে হায়দ্রাবাদের চারমিনারে সরকারি নিজামিয়া তিব্বি কলেজে চার বছরের জিসিইউএম কোর্সে ভর্তি হন এবং শীঘ্রই উপলব্ধি করেন যে এর মাধ্যমেই তিনি মানুষের সেবা করতে পারবেন।হাকিম কবিরউদ্দিন, দিল্লির হামদর্দ দাওয়াখানার হাকিম আবদুল হামিদ, আলিগড়ের হাকিম এম তৈয়ব, হায়দরাবাদের হাকিম আব্দুল ওয়াহাব জহুরি এবং হাকিম মোহাম্মদ শিবলী, লখনউয়ের হাকিম শাকিল আহমেদ শামসি সহ সেই যুগের অনেক গুণী ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন তিনি। তবিবা উম্মুল ফজল, তার পরিবারের প্রথম স্নাতক মহিলা যিনি আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইউনানি ডিগ্রি (ব্যাচেলর অব ইউনানি মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি) সম্পন্ন করেন এবং স্বাধীন ভারতে একটি উদাহরণ প্রতিষ্ঠা করেন, যা মহিলাদের জন্য সহজ ছিল না। উম্মুল ফজল ১৯৯৩ সালে ডব্লিউএইচওর পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি ইউনানি মেডিসিনে দ্য কনসেপ্ট অব বার্থ কন্ট্রোল ইন ইউনানি মেডিসিন ১৯৯৩, সিসিআরইএম এবং এ হ্যান্ডবুক সহ বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন এবং সম্পাদনা করেছেন। যেগুলি বেশ কয়েকটি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।