পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ইলন মাস্কের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিতর্কের শিরোনামে ছিল ট্যুইটার। কখনও এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটে ব্যবহারকারীদের টাকার বিনিময়ে ব্লু টিক থেকে, সংস্থার কর্মীদের একদিনও ছুটি না দিয়ে দিনের পর দিন কাজ করিয়ে গেছেন মাস্ক। দেশ-বিদেশের বহু কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এবার ভারতে আরও চাপান-উতোর শুরু হল সেই ট্যুইটার নিয়ে।
দেশে ট্যুইটারের প্রযুক্তিগত দিকটি মূলত বেঙ্গালুরুর অফিস থেকেই পরিচালিত হয়। এই মুহূর্তেই আপাতত বেঙ্গালুরুর অফিসেই যাবতীয় কাজ চলবে। দিল্লি, মুম্বইয়ের অফিস বন্ধ করার পথে ট্যুইটার। খরচ কমাতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। এর ফলে ভারতে তিনটি অফিসের মধ্যে দুটি অফিস বন্ধ করার পথে ট্যুইটার।
সূত্রের খবর, দেশের রাজধানী দিল্লি এবং বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের অফিসে তালা ঝোলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগেই ট্যুইটার দেশ-বিদেশের বহু কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। ভারতে দুটি অফিস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ফের কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কাকে উসকে দিল।
ট্যুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই মাস্ক জানিয়ে দেন, সংস্থার আর্থিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করার জন্য ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যয়সঙ্কোচ করে যাবে এই সংস্থা।
এই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবেই ২০২২ সাল পর্যন্ত ভারতে মোট কর্মীসংখ্যার ৯০ শতাংশকে ছাঁটাই করেছে ট্যুইটার। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেটা কিংবা গুগলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা অ্যালফাবেট লাভের নিরিখে ভারতকে একটি ‘সম্ভাবনাময় দেশ’ বলেই মনে করে থাকে। কিন্তু দেশে বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী থাকা সত্ত্বেও ভারতে ব্যবসার পরিধিকে কেন এত ছোট করে আনা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
স্পষ্টতই এই প্রযুক্তি-ধনকুবের মন থেকে বিশ্বাস করেন, ট্যুইটারে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের যে কারও চেয়ে তিনি সব কিছুই ভালো জানেন ও বোঝেন। তার এই খামখেয়ালি সিদ্ধান্তের শিকার হচ্ছেন ট্যুইটারের কর্মীরা।