পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ কাবুল বিমানবন্দরকে আগের অবস্থা ফিরিয়ে দিতে তুরস্ক ও কাতার একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়ে দিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেন, কাবুল বন্দরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এক বিবৃতি দিয়ে এই কথা জানান তিনি। কাবুল বিমানবন্দরের কার্যক্রম নিয়ে মিত্র দেশ তুরস্ক ও কাতারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র। আনাদোলু এজেন্সি তাদের প্রতিবেদনে এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন যৌথভাবে কাতার সফরে যাবেন বলে জানিয়েছেন। আফগানিস্তানের বিষয়ে কাতারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও প্রচেষ্টার বিষয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের জন্যই তাদের এই সফর বলে জানা গিয়েছে। মার্কিন পররাষ্টমন্ত্রী বলেন, কাতার সফরকালে তিনি দেশটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন।
প্রসঙ্গত, কাতার সরকার আফগান তালিবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শান্তি আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া আফগানিস্তান থেকে পশ্চিমা নাগরিক ও সমর্থকদের সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও মধ্যস্থতা করে কাতার। কাতারের এই ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সম্প্রতি কাবুল বিমান বন্দর অতি দ্রুত চালু করার জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মেদ বিন আব্দুলরাহমান। তিনি জানান, কাবুল বিমানবন্দরে কারিগরি সহায়তার জন্য তারা তুরস্কের সঙ্গে কাজ করছেন। আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি এবং দ্রুত কাবুল বিমানবন্দর চালু করতে পারব বলে আশাবাদী। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এ বিষয়ে সুখবর শোনা যাবে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যেই কাতারের একটি টিম বিমানবন্দরে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার জন্য আফগানিস্তানে গেছে।
সোমবার মধ্যরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সকল সেনা আফগানিস্তান ত্যাগ করে। এরপর কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু করতে বিমানবন্দরটি সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে।