পুবের কলম প্রতিবেদক: হলুদ ট্যাক্সির চালকদের হয়রানি থেকে যাত্রীদের বাঁচতে নয়া উদ্যোগ নিল রাজ্য পরিবহণ দফতর। একনাগাড়ে যাত্রী প্রত্যাখান, দুর্ব্যবহার কলকাতা ও শহরতলির বুকে অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা চালু করতে বেশ অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছিল।
সেই পরিষেবা চালুর পরে কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছেন হলুদ ট্যাক্সির চালকেরা। ফলে কিছুটা হলেও কমেছে তাঁদের যাত্রী প্রত্যাখান ও দুর্ব্যবহারের ঘটনা। এই অবস্থায় হলুদ ট্যাক্সির গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে ও তা দ্রুত যাতে আমজনতার নাগালে আসে তার জন্য রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার চালু করেছে ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপ।
এই অ্যাপ দিয়ে যারা হলুদ ট্যাক্সি বুক করে কোনও গন্তব্যে যাবেন তাঁদের নগদে টাকা দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইন পেমেন্টের সুবিধা মিলবে। তবে এবার থেকে ওই সব হলুদ ট্যাক্সিতে করে আর মিটারে যাওয়া যাবে না।
ইতিমধ্যেই হাওড়া-শিয়ালদহ স্টেশনের হাজারেরও বেশি ট্যাক্সিচালক এই ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন।
রাজ্য পরিবহন ও নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘যাত্রী সাথী’অ্যাপ শুধুমাত্র হলুদ ট্যাক্সির জন্য আনা হয়নি। কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় যে সব বেসরকারি অ্যাপ ক্যাব এখন পরিষেবা দেয় তাঁদেরও আগামী দিনের ধাপে ধাপে এই অ্যাপ র আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এখন ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপ পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হলেও আগামী অগস্ট মাস থেকেই তা বানিজ্যিকভাবে চালু হয়ে যাবে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ‘যাত্রী সাথী’অ্যাপ’র সব থেকে বড় সুবিধা হতে চলেছে কম ভাড়ার বিষয়টি। কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় চালু থাকা বেসরকারি অ্যাপ ক্যাব গুলি যখন খুশি যেমন খুশি যে ভাড়া হাঁকে তা ‘যাত্রী সাথী’অ্যাপ -এ মিলবে না। অনান্য বেসরকারি অ্যাপ ক্যাবের তুলনায় ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপ’র মাধ্যমে বুক করা গাড়িতে ভাড়া অনেকটাই কম হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে হলুদ ট্যাক্সিকে এই সরকারি অ্যাপ ক্যাবের আওতায় সামিল করা হচ্ছে। আগামী দিনে ওলা ও উবের মতো বেসরকারি অ্যাপ
ক্যাবগুলিকেও এই সরকারি অ্যাপের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের সোসাইটি ফর ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ টেকনোলজি রির্সাচ এই নয়া অ্যাপ ক্যাবের ব্যবসা করতে লাইসেন্স নিয়েছে। হাওড়া-শিয়ালদহ সহ অন্যান্য ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে পুলিশই ট্যাক্সিচালকদের ফোনে এই অ্যাপ ডাউনলোড করে দিচ্ছে। যাদের হাতে স্মার্টফোন নেই, সেই চালকদের গাড়ির নম্বর এবং ফোন নম্বর রেকর্ড করে রাখা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাঁদেরকেও এই অ্যাপের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সব ঠিকঠাক চললে অগস্টেই পুরোপুরি বাণিজ্যিক ভাবে বাজারে চলে আসবে এই ক্যাব।
তার আগে অবশ্য পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে কলকাতা বিমানবন্দর, হাওড়া, শিয়ালদহ ও কলকাতা রেল স্টেশনে চালু করা হয়েছে এই অ্যাপ পরিষেবা। এই পরিষেরা রজ্যে চালু হলে যাত্রি হয়রানী অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.21-PM.jpeg)
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.20-PM-1.jpeg)
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.20-PM.jpeg)