পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাজ্য সরকারের কোনও কর্মী বা আধিকারিকের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীকে পারিবারি পেনশন দেওয়া হয়। তাঁদের অবিবাহিত বা ডিভোর্সি বা বিবাহবিচ্ছিন্না কন্যা থাকলে তিনিও সেই পেনশন পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। কেন্দ্রীয় সরকারের মতো রাজ্যও এমন যোগ্য মহিলাদের পেনশন দিয়ে থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রেই বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। পারিবারিক পেনশন চাওয়া কুমারী বা বিবাহবিচ্ছিন্না অথবা বিধবা মহিলাদের বহু আবেদন নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল রাজ্য অর্থদফতর। তার জেরেই এবার নয়া নিয়ম চালু হয়ে গেল।
রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার থেকে পারিবারিক পেনশনের আবেদন আর সরাসরি রাজ্যের অর্থ দফতরে পাঠানো যাবে না। যে কর্মীর মৃত্যুর জেরে এই পারিবারিক পেনশনে’র আবেদন জানানো হয়েছে, তিনি যে দফতরের অধীনে কাজ করতেন সেই দফতরের হাত ঘুরে ফাইল যাবে পেনশন শাখায়।
নিয়মানুযায়ী, অবসরপ্রাপ্ত কর্মী বা আধিকারিক রাজ্যের যে নির্দিষ্ট দফতরে কাজ করতেন তাঁদেরই বিষয়টি খতিয়ে দেখে রাজ্য সরকারের পেনশন শাখায় সেই ফাইল পাঠানোর কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছিল তা না হয়ে, সরাসরি সেই ফাইল চলে আসছিল রাজ্যের অর্থদফতরে। সেই ফাইলে থাকা আবেদন অগ্রাহ্য করতেও পারছিলেন না অর্থদফতরের আধিকারিকেরা। আবার সেই সব ফাইল দেখে সিদ্ধান্ত নিতে প্রচুর সময় চলে যাচ্ছিল। অনেকের আবেদন আবার বাতিলও হচ্ছে। ফলে, যোগ্য প্রাপকদের পেনশন পেতে অনেকটা দেরি হচ্ছে। সমস্যা দূর করতেই এবার নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দিল রাজ্য সরকার।
নয়া নিয়মে পারিবারিক পেনশনে’র আবেদন সরাসরি এলে তা গ্রাহ্য করবে না রাজ্যের অর্থ দফতর।
এই বিষয়ে রাজ্যের অর্থ দফতরের আধিকারিকদের দাবি, পারিবারিক পেনশনে’র আবেদন করার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। উপযুক্ত প্রমাণসহ পেনশন প্রাপক যেখানে কাজ করতেন সেই দফতরে আবেদন করতে হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছিল সেই সব আবেদন সরাসরি অর্থ দফতরে চলে আসছিল। তাই নতুন নিয়ম তৈরি হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, শুধু মৃত কর্মীর স্ত্রী বা তাঁদের ওপর নির্ভরশীল বিবাহবিচ্ছিন্না কিংবা বিধবা বা অসুস্থ মেয়েরাই এই পেনশন পাবেন তাই নয়, বাবা-মার ওপর নির্ভরশীল শারীরিক প্রতিবন্ধীময় ছেলেরাও ওই পেনশন পাওয়ার অধিকারী।