পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ স্বীকৃতি ইতিমধ্যেই দিয়েছে ইউনেস্কো। এবার বাংলায় ১০ দিন আগেই শুরু হবে দুর্গাপুজো এমনটাই আজ বৃহস্পতিবার জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই দিন কলকাতা পুরভোটে জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে মহারাষ্ট্র নিবাসে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেন “‘কলকাতাই সেরার সেরা। সেরা হতে হবে কলকাতাকে। হেরিটেজের জন্য আমরা সেলিব্রেশন করব। আগামী বছর দুর্গাপুজোর ১০ দিন আগে থেকে শুরু হবে সেলিব্রেশন”
আগামীবছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ১ লা অক্টোবর ষষ্ঠী, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক সেপ্টেম্বর মাসের ২০ তারিখ থেকেই শুরু হয়ে যাবে দুর্গোৎসব। সব মিলিয়ে এবার রাজ্যে দুর্গাপুজোর মোট দিন হবে ১৫ দিন।
উল্লেখ্য ইউনেস্কোর স্বীকৃতি মেলার পর কলকাতার রাজপথেও নামেন পুজো উদ্যোক্তরা। দুর্গা পুজোর সুদৃশ্য কাটআউট নিয়ে হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এখন মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে যায় উৎসব।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো গত ১৫ ডিসেম্বর পায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। ইউনেস্কোর হেরিটেজের তকমা পায় এই রাজ্যের দুর্গাপুজো।
দুর্গাপুজো বাংলার ঐতিহ্য। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ এই পুজোয় সামিল হন। ধর্ম এবং শিল্পের মেলবন্ধনের জন্যই এই স্বীকৃতি বলে জানিয়েছে ইউনেস্কো।
ইউনেস্কোর তরফে টুইট করে জানানো হয়, রাষ্ট্রপুঞ্জের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ তালিকায় নাম জুড়ল দুর্গাপুজোর।
জানা যাচ্ছে প্যারিসে ইউনেস্কোর বিশেষ সভা। ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়, এই সভা, যা চলে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেই সভাতেই এই সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্য সরকার ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি যাতে বাংলার দুর্গাপুজো পায় তার জন্য আবেদন জানিয়েছিল।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ দফতরের যৌথ উদ্যোগে সেই আবেদন পত্র পোঁছে যায় রাষ্ট্রপুঞ্জের শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সংস্কৃতি বিভাগে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট প্রতিনিধিদের একটি দল তা খতিয়ে দেখে। এরপর ইউনেস্কোর সভায় সর্বসন্মতি ক্রমে হেরিটেজ ঘোষণার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়।