পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সিনেমাস, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইমের মতো অন্যান্য অনলাইন বা ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলিতে তামাকবিরোধী সতর্কীকরণের বার্তা বাধ্যতামূলক করার বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের মধ্যে রয়েছে নেটফ্লিক্স, অ্যাপেল টিভি, অ্যামাজন প্রাইম, ডিজনি প্লাস হটস্টার, সোনি লাইভ, জি৫, ডিসকভারি প্লাস সহ আরও অনেক। প্রতি বছর ৩১ মে বিশ্বব্যাপী তামাক বিরোধী দিবস হিসাবেই পালিত হয়। এবার সেই ৩১ মে তামাককে ‘না ‘ বলতে কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
আন্তর্জাতিক তামাকবিরোধী দিবসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সিগারেট এবং অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য আইন, ২০০৪ -এর অধীনে সংশোধিত নিয়মগুলিকে জানিয়ে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে থিয়েটার ও টিভি প্রোগ্রামগুলি চলাকালীন তামাকবিরোধী সতর্কীকরণ বাধ্যতামূলক করেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলিতে তামাকবিরোধী সতর্কীকরণের জন্য নতুন নিয়ম তৈরি করেছে।
একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেকথা জানানো হয়েছে ৩১ মে বুধবার। নিয়ম অনুযায়ী এবার ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলিকেও জন্য তামাক-বিরোধী সতর্কবার্তা দিতে হবে। অনলাইন কনটেন্টের কোনও প্রকাশক যদি এই নিয়ম মেনে চলতে ব্যর্থ হয় তাহলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রকাশকদের শুরুতে এবং মাঝখানে ৩০ সেকেন্ডের সতর্কবার্তা দিতে হবে। পাশাপাশি প্রোগ্রাম চলাকালীন তামাকজাত বিষয় নিয়ে কোনও কিছু প্রদর্শিত হলে স্ক্রিনের নীচের দিকে নির্দিষ্ট ভাবে সতর্কীকরণ বার্তা দিতে হবে। এছাড়াও অনুষ্ঠানের শুরু ও মধ্যবর্তী সময়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের ‘তামাক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক’ জানিয়ে একটি অডিও বার্তা দিতে হবে।
তামাক বিরোধী স্বাস্থ্য সতর্কীকরণ বার্তাটি উপ-বিধি (১) এবং (বি) ধারাতে উল্লেখ করা অনুযায়ী সুস্পষ্ট এবং পাঠযোগ্য হতে হবে। সাদা পটভূমিতে কালো রঙের হরফ সহ এবং ‘তামাক ক্যান্সার সৃষ্টি করে’ বা ‘তামাক হত্যা করে’ সতর্কবাণী দিতে হবে। যে ভাষার অনুষ্ঠান প্রদর্শিত হবে, সেই ভাষাতে এই বার্তা যাবে। এই সতর্কবার্তা দেওয়ার সময় কোনও ব্র্যান্ডের সিগারেট বা তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন করা যাবে না।
কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় সাফ বলা হয়েছে, এই নির্দেশিকা সমস্ত ওটিটি প্ল্যাটফর্ম মেনে চলছে কিনা তার উপর নজরদারি চালাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি তৈরি হয়েছে। কোনও অভিযোগ এলেই এই কমিটি স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে দিতে পারে।