উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,সোনারপুর : বারুইপুরের আইনজীবী খুনের ৭২ ঘন্টার মধ্যেই সোনারপুরে শুট আউটের ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য। সোনারপুর থানার কামরাবাদ এলাকায় গুলি বিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার এক যুবকের দেহ। তাঁর হাতে ও পেটে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ২ রাউন্ড গুলি ও গুলির খোল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, বন্ধুদের মধ্যেই কেউ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে তদন্তে নেমেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। তবে এদিন বিকাল পর্যন্ত এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত যুবকের নাম লাল্টু হাজরা। কামরাবাদ এলাকায় ময়ূখ ভট্টাচার্য নামে এক বন্ধুর বাড়িতে মাঝে-মধ্যে গিয়ে থাকতো লাল্টু। সেখানে তাঁরা বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলেই থাকতেন। তবে শুক্রবার বন্ধুরা কেউ ছিলেন না। ময়ূখের বাড়িতে সে একাই ছিলো। রাত সোয়া ১২টা নাগাদ বিশ্বজিৎ সরকার নামে এক বন্ধুর সঙ্গে কথা হয় তাঁর। তারপর আর কারও সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।তবে এ ব্যাপারে বিশ্বজিতের দাবি, তিনি বাড়ি ফেরেন রাত দু’টোর পর। আর ফিরেই শিউরে ওঠেন। দেখেন, ঘরের মধ্যে লাল্টুর রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশে খবর দেন। সোনারপুর থানার পুলিশ ছুটে যায় কামরাবাদের ঐ ঘটনাস্থলে। উদ্ধার করা হয় লাল্টুর দেহ। ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড গুলি ও গুলির খোল উদ্ধার করেছে পুলিশ।পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, খুব কাছ থেকে লাল্টুর পেটে ও হাতে গুলি চালানো হয়। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু কে বা কারা গুলি চালাল, সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় লাল্টুর পরিবারের সদস্যরা।তবে মৃতের ভাই পিন্টু জানান “ওর কোনও শত্রু ছিল না, বন্ধু প্রচুর ছিল। সেই বন্ধুদের মধ্যে খুব কাছের কেউ ওকে এ ভাবে মেরেছে। অনেক আগে পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়। ওর ফোনও নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। দাদার একটা আঙুল ভেঙে গিয়েছে। মেঝেতে কোনও রক্তের দাগ ছিল না, সব ছিলো বিছানায়।” পিন্টুর অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতের বন্ধুদের সন্দেহের তালিকায় রেখে তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। ছেলের এমন মর্মান্তিক পরিণতি কিছুতেই মানতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।এলাকায় শোকের ছায়া।
: