পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বিশ্বের প্রথম গ্রিন মসজিদ বা প্রকৃতিবান্ধব মসজিদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিলাবহুল শহর দুবাইয়ে। শহরের হাত্তা নামক এলাকার ব্যাপক ও টেকসই উন্নয়ন ও সামাজিক-অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত উন্নয়নের লক্ষ্যের অংশ হিসাবে এই গ্রিন মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদটি ১০৫০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এখানে একসঙ্গে ৬০০ মুসল্লি নামায আদায় করতে পারেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দুবাইয়ের বিদ্যুৎ ও পানি বিভাগই বিশ্বের প্রথম কোনও গ্রিন মসজিদ উদ্বোধন করেছে। এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে আমেরিকার গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের শক্তি ও পরিবেশ ডিজাইন বিভাগ। তারা এই মসজিদ নির্মাণকে প্ল্যাটিনাম রেটিং দিয়েছে।
প্রযুক্তিবিদরা জানিয়েছেন, এই মসজিদটি আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেনে তৈরি হয়েছে এবং এর নির্মাণকারীরা অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। দুবাইয়ের পানি বিভাগে সিইও সঈদ মুহাম্মদ আল তায়ের জানান, দেশের প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ বিন রাশিদ আল মাখতুমের ২০৪০ মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ীই এই কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে। বিশ্বের মধ্যে দুবাইকে সবচেয়ে সুন্দর ও সবচেয়ে বেশি বসবাসযোগ্য করে তুলতেই প্রশাসন বিভিন্ন টেকসই উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। দুবাইয়ের গ্রিন মসজিদে একটি ২৫ মিটার উচ্চ মিনার রয়েছে রয়েছে গ্রিন চার্জার স্টেশন– মোটর বাইসাইকেল পার্কিং এবং অন্যান্য সুবিধা।
কিন্তু মসজিদটির নাম গ্রিন কেন? এর কারণ হল মসজিদটির অত্যাধুনিক পানি ও শক্তি সংরক্ষণ ব্যবস্থা। মসজিদটি নিজে থেকেই ৫৫ শতাংশ পানি ও ২৭ শতাংশ শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। মসজিদের বিদ্যুৎ আসে সোলার প্যানেল থেকে এবং যে পানির ব্যবস্থা রয়েছে, তা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য। শুধু তাই নয় মসজিদ সংলগ্ন এলাকার বাতাসকে বিশুদ্ধ রাখতে একটি উচ্চমানের এয়ার ফিল্টার ডিভাইস ব্যবহার করা হচ্ছে। পুরো মসজিদটিই তৈরি হয়েছে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য উপকরণ দিয়ে। দেশটির ইসলামি বিভাগের মহাসচিব ড. হামাদের কথায়– ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে আমিরশাহী।’