পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বালির রাজ্য মধ্যপ্রাচ্য। স্বভাবতই মহাদেশটির এক বিরাট অংশজুড়ে রয়েছে পানি সংকট। সম্প্রতি সেই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে যেসব নদী, হ্রদ ও জলাভূমি রয়েছে সেখানকার পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। ইরান– ইরাক–জর্ডন মিশরসহ বেশ কয়েকটি দেশের পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। লেক উরমিয়া ও নীলনদের পানির স্তর এখন অনেকটাই কম। এর কারণ হচ্ছে, একদিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং অন্যদিকে পানির চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়া।
জানা যায়, ইরানি দ্বীপ লেক উরমিয়াতে একসময় পর্যটকদের নিয়ে ফেরি চলাচল করা হত, কিন্তু এখন তা বালুর চর। অথচ বছর ২০ আগেও এটি ছিল মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় লেক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব– খরা ও তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া এবং পানি অব্যবস্থাপনার কারণে এমন সংকট দেখা দিয়েছে। আগামীতে পানি পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দেওয়ায় মানুষের জীবনজীবিকাও হুমকির মুখে পড়তে পারে। এ বিষয়ে ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইন্সটিটিউটের পানি গবেষক চার্লস আইসল্যান্ড বলেন, সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি প্রচুর পরিমাণে উত্তোলন করছে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশ। বৃষ্টিপাত ব্যাপক হারে কমে যাওয়ায় এই ব্যবস্থা বেছে নিয়েছে তারা। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে এমন পরিকল্পনা নিয়েছে দেশগুলো। এ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক বৃষ্টির চেয়ে বেশি পানি উত্তোলন এবং ব্যবহার করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্রমাগতভাবে নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। যে পরিমাণ পানি উত্তোলন করা হচ্ছে, তা পূর্ণ হচ্ছে না বৃষ্টির পানিতে। এর প্রভাবে অনেক দেশের নদী, হ্রদ ও জলাভূমিও শুকিয়ে যাচ্ছে। পানি সংকটে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে হাহাকার তৈরি হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়ে চার্লস আইসল্যান্ড বলেন, পানিশূন্য অঞ্চলগুলো মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। পানি বণ্টন নিয়ে আঞ্চলিক উত্তেজনাও বেড়ে যাবে।