পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ চুক্তি মোতাবেক ৯৫ শতাংশেরও বেশি ন্যাটো ও মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে আফগান্তিানের মাটি থেকে। ফলে তালিবান তার পুরনো মেজাজে ফিরেছে। আফগানিস্তানে তারা ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠায় যুদ্ধ করছে। এতে পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানির সেনা জওয়ানরা। তাই ওয়াশিংটনের কাছে মদদ চেয়েছে কাবুল। মুখ ফিরিয়ে নেয়নি বাইডেন সরকার। এর আগে আফগানিস্তান ইস্যুতে বাইডেন অবশ্য বলেছিলেন, এখন থেকে আফগান ও দেশের সরকারের ভাগ্য তাদেরই হাতে আমেরিকার কিছুই করার নেই। কিন্তু এখন বাইডেন সরকারের তরফে ঘোষণা, সেনা প্রত্যাহার চলাকালীন আফগান সেনার সমর্থনে ও তালিবানের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে যাবে আমেরিকা। একথা বলেছেন আমেরিকার একজন শীর্ষ কমান্ডার। আমেরিকার মেরিন জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি রবিবার কাবুলে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, গত কয়েক দিন আফগান সেনাবাহিনীর সমর্থনে তালিবানের বিরুদ্ধে বিমান হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে আমেরিকা। তালিবান যদি হামলা চালিয়ে যেতে থাকে, তাহলে আগামী সপ্তাহগুলোতে আমরা আফগান সেনাবাহিনীকে এই সমর্থন দিয়ে যেতে চাই।’
তালিবানের দাবি, তারা আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ ভূখণ্ড দখল করেছে। আর এ নিয়ে সরকার টিকিয়ে রাখতে প্রেসিডেন্ট গানি বাইডেনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বাইডেনের তরফে জানানো হয়েছিল– মার্কিন সেনা উপস্থিতি না থাকলেও পরোক্ষ সব ধরনের মদদ কাবুলকে দেবে ওয়াশিংটন। ম্যাকেঞ্জি যুক্তরাষ্টেÉর সেন্ট্রাল কমান্ডকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু তিনি এটি নিশ্চিত করেননি যে, ৩১ আগস্ট তাদের সামরিক মিশন শেষ হওয়ার পরও তারা বিমান হামলা চালাবেন কিনা।