পুবেরকলম ওয়েবডেস্ক ২০০৩ সাল থেকে ইরাকে আগ্রাসন চালাচ্ছে আমেরিকা। আর সেই থেকে দেশটির প্রায় ১৭ হাজার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন লুট করে পাচার করা হয়েছে আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে। এবার সেই ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলি ইরাককে ফিরিয়ে দিচ্ছে মার্কিন সরকার। ইরাকের বিদেশমন্ত্রী হাসান নাজিম জানান– ওয়াশিংটনে রাষ্ট্রীয় দূতাবাসের সহায়তায় ইরাকি কর্তৃপক্ষের মাসের পর মাস প্রচেষ্টার ফল হিসেবে এই নিদর্শন ফেরত আসছে। এই নিদর্শনগুলোর বেশিরভাগই সুমেরিয়ান যুগে বাণিজ্যিক লেনদেনের প্রমাণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আলকাধিমি বৃহস্পতিবার দেশে ফিরে যাওয়ার সময় এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন। ইরাকি বিদেশমন্ত্রী বলেন– ‘আমি আশা করি ভবিষ্যতে আমাদের বাকি সম্পদ ইউরোপ থেকে উদ্ধার করব। ২০০৩ সালের পর থেকে ইরাকে সামরিক উপস্থিতি রেখে যুদ্ধ করেছে আমেরিকা। তবে গত সোমবার ওয়াশিংটনে জো বাইডেনের সঙ্গে ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের পর দেশটি থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের শেষে ইরাক থেকে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে। উল্লেখ্য– দীর্ঘ যুদ্ধে অস্থিরতার সুযোগে বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতার কেন্দ্রভূমি এই দেশটির প্রbতাত্ত্বিক সম্পদ বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যুদ্ধে দেশটির প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানসমূহে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয় এবং বিভিন্ন জাদুঘরে সংরক্ষিত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন লুট করা হয়। এক সাক্ষাৎকারে বসরা জাদুঘরের পুরাতত্ত্ব ও ঐতিহ্য বিষয়ক পরিচালক কাহতান আলওবায়েদ বলেন– ‘এটি গণনা করা অসম্ভব যে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানসমূহ থেকে কী পরিমাণ সম্পদ লুট করা হয়েছে।