পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ৯৯৯…… রিং। ‘হ্যালো এটা কি পুলিশ কন্ট্রোল রুম? আমি একটা দোকানে চুরি করতে ঢুকসিলাম। লোকজন টের পাইয়া গেসে। আমারে তো পিটিয়ে মাইরা ফেলাইবে। আমারে আপনারা গ্রেফতার করেন। তারাতারি খানকা রোডে পুলিশ পাঠান। আমাকে বাঁচান। এক অপ্রত্যাশিত ফোন পেয়ে হতবাক ঢাকা পুলিশ। সাধারণত অপরাধীদের খোঁজ পেতে নাজেহাল অবস্থা হয় পুলিশের। এ যেন মেঘ না চাইতেই জল। এখানে খোদ অপরাধী পুলিশকে ফোন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার কদমতলীর খানকা রোড সংলগ্ন দোকানে। চোর বলে অবজ্ঞা করেনি পুলিশ। ফোন নম্বর ট্র্যাক করে পৌঁছে যায় নির্দিষ্ট ঠিকানায়। ততক্ষণে হৃদয়কে (চোর) মারতে শুরু করেছে উপস্থিত জনতা। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। বুধবার মেট্রো পলিটান আদালতে পেশ করা হয় তাকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোট ৪ টে নাগাদ বাংলাদেশের রাজধানীতে ঘটনাটি ঘটেছে। চুরি করতে গিয়ে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ৯৯৯ ফোন লাগায় হৃদয়। ফোন পেয়েই ঘটনাস্থল পৌঁছায় তারা।
উল্লেখ্য,পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগের নম্বর যেমন ১০০, বাংলাদেশে সেটাই ৯৯৯। নিজেকে চোর দাবি করা ওই ব্যক্তির নাম হৃদয় (২৫)। তাঁর বাবার নাম সোবহান। তিনি কদমতলী থানার মেরাজনগর বি- ব্লকের বাসিন্দা। উপস্থির জনতার রোষানলের শিকার হলেও, চোরের উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসায় পঞ্চমুখ একাংশ।