পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিয়ে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল তালিবান। কিন্তু রাষ্ট্রসংঘ তা প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে। শুক্রবার বিকেলে রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি স্টিফেন দুজারিচ নিশ্চিত করেন, সাধারণ সভার বক্তাদের তালিকায় নাম নেই তালিবানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির যিনি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। আপাতত রাষ্ট্রসংঘ নিযুক্ত আফগান দূতের নাম হল গোলাম ইসাকজাই। ইসাকজাই হলেন, প্রাক্তন গনি সরকারের নিয়োজিত রাষ্ট্রসংঘের দূত। এখন তিনিই বক্তা হিসেবে রাষ্ট্রসংঘের আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করবেন। এর আগে তালিবনের বিদেশমন্ত্রী মুত্তাকি তাঁর চিঠিতে সুহেল শাহিনকে রাষ্ট্রসংঘ দূত হিসাবে মনোনীত করেছিলেন। এই ঘটনায় তালিবান ও ইসাকজাইয়ের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি করে। ইসাকজাই একজন কূটনীতিক, যিনি তাঁর কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। সোমবারের বক্তাদের তালিকায় তালিবান প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত বিস্ময়কর নয়। টেনেসির ন্যাশভিলের ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্টÉবিজ্ঞান ও আইনের গবেষক অধ্যাপক সমর আলি বলছেন, তালিবান তাদের সরকারের বৈধতা ও স্বাভাবিকীকরণ চায়। রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সম্প্রতি একটি রেজোলিউশন জারি করেছে যাতে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের জন্য তালিবানদের কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে। এগুলির মধ্যে রয়েছে বিদেশি নাগরিক এবং আফগানদের দেশের বাইরে অবাধে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া, আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে না দেওয়া, মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা ও নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করা।
মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, এই প্রতিশ্রতিগুলো পূরণ করা একটি স্থিতিশীল এবং নিরাপদ আফগানিস্তানের মৌলিক প্রয়োজন। কাতার ও পাকিস্তানের মতো দেশ অবশ্য বলেছে, তালিবানকে অস্বীকার করার অর্থ হবে আফগান সংকটকে আরও বাড়তে দেওয়া। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি চলতি সপ্তাহে রাষ্টÉসংঘকে বলেন, তালিবানের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তাদের বয়কট করলে নেতিবাচক ফল আসবে। সেক্ষেত্রে সংলাপ ফলপ্রসূ হতে পারে। এই কাতারই ২০২০ সালে আফগান থেকে সেনা প্রত্যাহার করার চুক্তিতে আমেরিকা এবং তালিবানের মধ্যে মধ্যস্থতা করেছিল।