পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: শীতকাল এলেই বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। প্রায় গোটা রাজ্যেই এমনটা হয়ে থাকে। তবে সবথেকে বেশি সমস্যা হয় কলকাতা ও আশপাশের এলাকায়। কিন্তু কোন এলাকা সবথেকে বেশি দূষিত তা চিহ্নিত করতে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা মেটাতে বিশেষ উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। আর এই সংস্থাকে সাহায্য করবে রাজ্যের পরিবহণ দফতর এবং আইআইটি-দিল্লি।
জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ পরিবহণ দফতর ও আইআইটি-দিল্লির সহযোগিতায় সরকারি বাসে সেনসর-ভিত্তিক যন্ত্র বসাবে। শহর কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় বাসগুলি চলাচল করার সময় দূষণের ‘হটস্পট’ অর্থাৎ- বেশি দূষিত এলাকা চিহ্নিত করবে। আপাতত ঠিক হয়েছে, কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী ৭টি নন-এসি বাসে ওই ডিভাইস (যন্ত্র) বসানো হবে। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সভাপতি ড. কল্যাণ রুদ্র জানান, বাসগুলি চলাচল করবে আর তার মাধ্যমে দূষণের তথ্য পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ নিয়ে পরিবহণ দফতরের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।
অন্যদিকে, দূষণ সৃষ্টিকারী শব্দবাজির দৌরত্ব ঠেকাতে উদ্যোগী পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই লক্ষ্যেই গ্রিন বাজির কারখানা গড়ে তুলবে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। এ নিয়ে সোমবার সল্টলেক পরিবেশভবনে বাজি প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। সেই আলোচনাচক্রে পরিবেশ দফতরের মন্ত্রী মানস ভূঁইয়াকে কাছে পেয়ে বাজি ব্যবসায়ীরা তাঁদের দীর্ঘদিনের সমস্যা, ক্ষোভ ও সরকারি দফতরের সমন্বয়ের অভাবের কথা তুলে ধরেন। মন্ত্রী আশ্বস্ত করে জানান, বাজি কারবারীদের সমস্যা মেটাতে সরকারের তিনটি দফতর অর্থাৎ পরিবেশ, দমকল ও জরুরি পরিষেবা এবং ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি মধ্যে নিবিড় সমন্বয় সাধন জরুরি। পাশাপাশি মন্ত্রী জানান, প্রস্তুতকারকদের ব্যবসায়িক স্বার্থে রাজ্যের সবুজ বাজি তৈরির ক্লাসটার গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর থেকেই প্রকল্পের কাজে হাত পড়বে বলে আশাবাদী মানসবাবু।