কৌশিক সালুই, বীরভূম: রেলের উদাসীনতায় নতুন ওভার ব্রিজ নির্মাণ ও সম্প্রসারণ হচ্ছে না বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। দ্রুত নির্মাণের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ তৃণমূল কংগ্রেসের। পাশাপাশি অতিসত্বর ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি রাজ্যের শাসকদলের।
বীরভূমের অন্যতম বাণিজ্য নগরী সাঁইথিয়া। এর সঙ্গে জেলায় অবস্থিত পাঁচটি সতীপিঠের মধ্যে অন্যতম নন্দীকেশরী অবস্থিত এখানে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ সাঁইথিয়া শহরের মধ্যে অবস্থিত রেলওয়ে ওভারব্রিজ রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বঞ্চিত।
হাওড়া সাঁইথিয়া রেলপথ শহরকে মাঝামাঝি দু’ভাগ করেছে। সেখানে একদিক থেকে আরেক দিক অর্থাৎ সাইথিয়া লাভপুর সড়ক রাস্তাটি যাতায়াত করতে হয় একটি সংকীর্ণ ওভারব্রিজ দিয়ে। যেটি কয়েক দশকের প্রাচীন। শহরের জনবসতি বাড়ার পাশাপাশি যান চলাচল বেড়েছে কয়েকগুণ। তার ফলে ওই ওভারব্রিজ দিয়ে যাতায়াতের সময় যানজট নিত্যদিনের সমস্যা স্থানীয়দের।
বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সাঁইথিয়া পৌরসভার আমলে শহরের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটলেও শুধুমাত্র রেল ওভারব্রিজ সংকীর্ণতার কারণে মানুষের ওই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যাতায়াতের সমস্যা এখনো বিদ্যমান।
যেদিকে কলেজ, হাসপাতাল, থানা, স্কুল, সতীপীঠ সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অফিস যাওয়ার রাস্তা। তাই সেই সমস্যা সমাধানের জন্য সোমবার সকাল দশটা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সাঁইথিয়ার রেল স্টেশনের তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন সাঁইথিয়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশীষ সাহা, পৌরসভার পুর প্রধান বিপ্লব দত্ত, লাভপুর বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ সহ অন্যান্য শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ববৃন্দ।
সাঁইথিয়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশীষ সাহা বলেন, “সম্প্রতি রেল কর্তৃপক্ষ ওই সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল না করার জন্য নোটিশ টাঙিয়েছে। পুরসভার উদ্যোগে শহর সেজে উঠলেও শুধুমাত্র ওই সংকীর্ণ রেল ওভার ব্রিজের জন্য যানজট মূল সমস্যা। বারবার দাবি জানিয়েও এখনো পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছি রেলকে আমরা”।
বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায় বলেন,”রেলের পক্ষ থেকে রেল ওভারব্রিজ নির্মাণের কথা বলা হলেও বিকল্প যাতায়াতের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত সমস্যা। তবে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে”। রেলের হাওড়া ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, “বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দ্রুত বিবেচনা করা হবে। রাজ্য সরকার যদি সহায়তা করে অবশ্যই রেল কর্তৃপক্ষ এটা নিয়ে এগিয়ে যাবে”।