পারিজাত মোল্লা: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলে। কলকাতা হাইকোর্টে প্রথমে নির্দেশ দিয়েছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করাতে হবে। হাইকোর্টের সেই নির্দেশের পর ২২ জেলার জন্য মাত্র ২২ কোম্পানি সেন্ট্রাল ফোর্স চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কারণ, তখন কমিশন জানিয়েছিল, তাদের হিসাবে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা মাত্র ১৮৯ টি।এরপর যা ঘটেছে, তা নজিরবিহীন ।
রাজ্য নির্বাচনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল,-‘ ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের মতো অন্তত ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন আদালতের নির্দেশ ঠিকমতো মানছে কিনা? তা হলফনামা দিয়ে আদালতকে জানাতে হবে’। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে সেই হলফনামা পেশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাতে বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে মোট বুথের সংখ্যা ৬১,৬৩৬। এর মধ্যে ৭.৮৪ শতাংশ বুথ স্পর্শকাতর। অর্থাত্ স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৪৮৩৪।
প্রশ্ন উঠছে, এই যে রাতারাতি স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা বেড়ে গেল? তা কি আদালতের চাপে পড়ে? জবাবে কমিশনের কর্তা এদিন বলেন, -‘ ব্যাপারটা তা নয়। যে সময়ে ১৮৯ টি বুথকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল, তা ছিল একেবারে প্রাথমিক মূল্যায়ন। কমিশন তখনই জানিয়েছিল, ডায়ানামিক মেথড ব্যবহার করা হচ্ছে। অর্থাত্ পরিস্থিতির প্রতি মুহূর্তে এবং দফায় দফায় মূল্যায়ন চলবে। সর্বশেষ মূল্যায়নে দেখা যাচ্ছে ৪৮৩৪ টি বুথ স্পর্শকাতর’।রিপোর্টে কমিশন জানিয়েছে, -‘এখনও পর্যন্ত যে সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসেছে তাদের মোতায়েন হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকা, খাওয়া ও পরিবহণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনও ত্রুটি রাখা হয়নি’।