পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: : ইসরাইলে চালানো ৭ অক্টোবরের হামলা নিয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুলল গাজার শাসকদল হামাস। ইসরাইলে চালানো হামলাকে ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ ও ইসরাইলের দখলদারির বিরুদ্ধে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি। ইসরাইলের অভ্যন্তরে চালানো আল-আকসা তুফান অভিযানকে সমর্থন জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে হামাস। ইংরেজি ও আরবিতে প্রকাশিত বিবৃতিতে ইসরাইলের চরম অত্যাচার ও অপরাধ মোকাবিলায় আল-আকসা তুফান অভিযানকে একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আল-আকসা তুফান অভিযান ছিল একটি জরুরি পদক্ষেপ ও স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। ইসরাইলি দখলদারি থেকে মুক্তি পেতে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এটি ছিল একটি আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ।’ হামাস আরও বলেছে, ‘জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর ও জেরুসালেমে ইহুদি বসতির বিস্তার ঘটিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাকে পদ্ধতিগতভাবে ধ্বংস করে আসছিল ইসরাইল। এ অবস্থায় ওই অভিযানের কোনও বিকল্প ছিল না।’ ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হামলার প্রতি পাশ্চাত্যের অকুণ্ঠ সমর্থনের প্রতি ইঙ্গিত করে হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়, দখলদারি ও উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণের যুদ্ধ ৭ অক্টোবর শুরু হয়নি বরং শুরু হয়েছে ১০৫ বছর আগে। ফিলিস্তিনিরা প্রথম ৩০ বছর যুদ্ধ করেছে ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে এবং বাকি ৭৫ বছর যায়নবাদীদের বিরুদ্ধে জেহাদ করেছে। হামাস আরও বলেছে, ‘আল-আকসা তুফান অভিযান চালানো হয়েছিল শুধুমাত্র ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে। উদ্দেশ্য ছিল ইহুদি সেনাদের বন্দি করে ইসরাইলি জেলগুলোতে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির ব্যবস্থা করা। এখন হামাস ইসরাইলকে যে শর্ত দিয়েছে তা হল, ইসরাইলি জিম্মিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করে হামাসের শাসন ও স্বাধীন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি।