পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আজ থেকেই শাবান মাস শুরু। সেই হিসেবে শবেবরাত পালিত হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে। নাখোদা মসজিদের হিলাল কমিটির পক্ষে থেকে নাসির ইব্রাহিম জানিয়েছেন ২৫ ফেব্রুয়ারিতেই পালিত হবে শবেবরাত।
শাবান মাস শেষেই মুসলিমদের সবেচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল ফিতরের আনন্দবার্তা নিয়ে শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস রমযান। হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত মুসলমানদের কাছে শবে বরাত বা ‘সৌভাগ্যের’ রাত হিসেবে বিবেচিত। ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ রাতটিতে মুসলমানরা ইবাদতে কাটিয়ে দেন। সাধারণত এই রাতের ১৫ দিনের মাথায় শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস।
যে সব মাসে আল্লাহতায়ালা বান্দার জন্য বিশেষ বরকত রেখেছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো- পবিত্র শাবান মাস। হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মাসে সবচেয়ে বেশি নফল রোজা রাখতেন। উম্মত জননী হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) রমযান মাস ব্যতীত অন্য কোনো মাসে পূর্ণ রোযা রাখতে দেখিনি এবং শাবান মাসের চেয়ে অন্য কোনো মাসে এতো বেশি রোযা রাখতে দেখিনি। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম
শবে বরাতের বিশেষ রাতের নামাজকে বিশেষ গুরুত্ব দেন মুমিনরা । তবে হাদিস শরিফে এ রাতকে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ তথা ‘শাবানের পনেরতম রজনী’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। শবে বরাত শব্দটি ফারসি। শব শব্দের অর্থ রাত আর ‘বরাত’ অর্থ নাজাত, মুক্তি, রক্ষা ইত্যাদি।
পবিত্র শবে বরাত সম্পর্কে কুরআনে কারিমে সরাসরি নির্দেশনা না থাকলেও হাদিস শরিফে সুস্পষ্টভাবে এর গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে। এ সব বর্ণনার মধ্যে কিছু বর্ণনা সম্পর্কে পৃথিবীর সব মুহাদ্দিস সহিহ বলে ঘোষণা দিয়েছেন।