আবদুল ওদুদ: টানা ৫০ দিন রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নে যাননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে বর্তমানে অনেকটাই সুস্থ তিনি। ২৪ ঘণ্টা যিনি সাধারণ মানুষের জন্য ভেবে থাকেন সে কি আর ঘরে বসে থাকতে পারেন? শেষ পর্যন্ত ৫০দিন পর নবান্নে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বেলা ১১ টা নাগাদ রাজ্যের মুখ্য প্রশাসনিক ভবনে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে পৌঁছতে কর্মীদের মধ্যে চনমনে ভাব।
মুখ্যমন্ত্রীর আগমন হয়তো অনেকেই যানতেন না। সকাল ১১ টা নাগাদ নাবান্নে পৌঁছনোর পরই কর্মীদের মধ্যে বেশ উৎসাহ দেখা যায়। মুখ্যমন্ত্রী কাজে যোগদেওয়ায় সভাবতই নবান্নের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ কড়াকড়ি ছিলো। নিরাপত্তার ব্যবস্থা কড়াকড়ি দেখে অনেকেই হয়তো আঁচ করে ছিলেন আজ কাজ্যে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব¨্যােপাধ্যায়। তবে এদিন নবান্নে গেলেও খুব বেশি হাঁটাহাটি করতে দেখা যায়নি তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের সমস্যা থাকায় তাঁর যাতে কোনও রকম অসুবিধে না হয় সে ব্যবস্থাও করা হয়েছিলো নবান্নের অন্দরে।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে স্পেন ও দুবাই সফরে যাওয়ার আগে নবান্নে গিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ১২ দিন বিদেশ সফরে ছিলেন তিনি। বিদেশ সফর থেকে ফেরার পর পুরনো হাঁটুর ব্যাথার সমস্যা ফের দেখা দেয়। এর পরই ফের এসএসকেএমে চিকিৎসা শুরু হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে তাঁকে দীর্ঘ বিশ্রাম নিতে বলা হয়। চিকিৎসকদের কড়া পর্যবেক্ষনে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালে ভর্তী না থাকলেও বাড়িতে বিশ্রামে থেকে রাজ্যের কাজ কর্ম পরিচালনা করেন। দুর্গাপুজোর উদ্বোধন থেকে শুরু করে রাজ্যের মন্ত্রী সভার বৈঠকও বাড়ি থেকে সারেন। শেষ পর্যন্ত গত ২৭ শে অক্টোবর রেডরোডের কার্ণিভালে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রথম দেখা যায়। বিশ্রামে থাকাকালিন মুখ্যমন্ত্রীর বাস ভাবনে কালীঘাটের দলীয় কার্যালয় থেকেই প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক কাজকর্ম সামলেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, রেশন বণ্টন ব্যবস্থায় অনিয়নের অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আগামী ৯ নভেম্বর রাজ্য মন্ত্রীর সভার বৈঠক রয়েছে। বন দফতরের দায়িত্ব এবার কার হাতে যাবে সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আগামী মন্ত্রী সভার বৈঠকে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব¨্যােপাধ্যায়। যদিও বর্তমানে বন দফতরের কাজকর্ম আপাতত দেখছেন বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাসদা। তাঁর হাতেই কি পূর্ণ দায়িত্ব? না অন্য কারোর হাতে অর্পিত হবে বন দফতরের ভার, সেদিকে তাকিয়ে বাংলা।
অন্যদিকে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারকে বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে মনে করছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই দলের মুখপাত্ররা বিবৃতিতে জানিয়েছেন।