পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সংসদের বিশেষ অধিবেশনে “INDIA” নাম পরিবর্তন করে ‘ভারত’ রাখার প্রস্তাব পাস করতে পারে সরকার। আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই প্রস্তাবে করতে পারে মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, G20 নৈশভোজে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণপত্র থেকে দেশের নাম আনুষ্ঠানিক নাম ‘ভারত’-পরিবর্তন করার বিষয়ে একটি রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আমন্ত্রণপত্রে দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘ভারতের রাষ্ট্রপতি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে যার পর নাই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কলকাতার একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘আমি শুনলাম, India নামও পালটে দিচ্ছে। মাননীয়া রাষ্ট্রপতির নামে জি-২০ সম্মেলনের যে কার্ড তৈরি হয়েছে, তাতে ‘ভারত’ লেখা রয়েছে। ভারত তো আমরা বলিই। এতে নতুনত্ব কী রয়েছে? কিন্তু ইংরেজিতে ইন্ডিয়া বলি, ইন্ডিয়ান কনস্টিটিউশন। হিন্দিতে ভারত বলা হয়, ভারত আমরাও বলি। আমরা বলি-ভারত আমার ভারতবর্ষ, স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো। কিন্তু তা বলে ইন্ডিয়া নাম ত্যাগ করতে হবে? ওই নামে তো সারা বিশ্ব চেনে?’
প্রসঙ্গত, বিতর্কে সূত্রপাত ইন্ডিয়া জোট নিয়ে। লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ক্ষমতার চেয়ার থেকে হটাতে একাট্টা হয়েছে ভারতের ২৬টি বিরোধী রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠিত ‘ইন্ডিয়া জোট’। বিশ্লেষকদের কথায়, নির্বাচনী বছরের শুরুতে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৭২ শতাংশ মানুষ মোদির প্রতি খুশি ছিলেন। চলতি আগস্ট মাসের আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। ৯ শতাংশ কমে বর্তমানে ৬৩ শতাংশে পৌঁছেছে মোদির জনপ্রিয়তা।
সি-ভোটারের এক সমীক্ষায় মোদির জনপ্রিয়তা আরও কমেছে বলে উঠে এসেছে। তবে দেশটির ৫২ শতাংশ মানুষ মোদিকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। সমীক্ষার রেডলাইনে দাঁড়িয়ে ‘মহাজোট’ কিছুটা স্বস্তি অনুভব করলেও ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ইন্ডিয়া জোট। ইন্ডিয়া জোট নিয়ে প্রথম থেকে আক্রমণাত্মক মোদি সরকার। দলটি ‘জঙ্গি’ তকমা দিতেও ছাড়েননি তিনি।