পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিশ্ব বাজারে তেলের সরবরাহ কিছুটা হলেও বেড়েছে। ফলে দেশীয় বাজারেও খানিকটা স্থিতিশীল ভোজ্য তেলের দাম। এবার ভোজ্য তেলের দামের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল কেন্দ্র সরকার। এর আগে উপভোক্তা আইনের অধীনে তেল মজুতের সীমা বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্র। যাতে ব্যবসায়ীরা তেল মজুত করে রেখে কৃত্রিম ভাবে ঘরোয়া বাজারে ভোজ্য তেলের দাম না বৃদ্ধি করতে পারে, তার জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে প্রভাব পড়েছিল হেঁশেলে। বাড়ছিল তেলের দাম। ফলে মাথায় হাত পড়ে মধ্যবিত্তদের। বিশ্ব বাজারে তেলের সরবরাহ বেড়েছে খানিকটা। এই আবহে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতেই সরকার ভোজ্য তেল মজুতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এই আবহে ভোজ্য তেল ও তৈল বীজের মজুতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল সরকার।
সরকারের এই নির্দেশিকার ফলে তৈল বীজ ও ভোজ্য তেল মজুত রাখার ক্ষেত্রে আর কোনও ঊর্ধ্বসীমা থাকবে না।
ফলে পাইকারি ও খুচরো বিক্রেতাদের ভোজ্য তেল মজুত রাখার ক্ষেত্রে কোনও ঊর্ধ্বসীমা মেনে চলতে হবে না। যাতে কারো ক্ষতি না হয়, সেই বিষয় মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি কমিটি গঠন করা হয়, সেই কারণে দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা গিয়েছে বলে কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের মত।
ভোজ্য তেল নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম গত কয়েকমাসে অনেকটাই কমেছে৷ আগামিদিনে আরও কমতে পারে৷ আগেই এমনটা পূর্বাভাস দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই আ্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের সরবরাহ কমে। চাহিদার তুলনায় ভোজ্য তেলের সরবরাহ কম থাকার জেরে দাম বাড়তে থাকে। এই আবহে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতেই সরকার ভোজ্য তেল মজুতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
ভোজ্য তেলের দাম কমা নিয়ে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছল কেন্দ্র সরকার। একদিকে করোনা অতিমারির তার জেরে দীর্ঘ লকডাউনের কারণে আর্থিক মন্দা। তার ওপরে রয়েছে তারপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সব মিলিয়ে দেশীয় বাজার মূল্যবৃদ্ধিতে জর্জরিত।
প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সরবরাহ বাড়িয়ে এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করার উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। সেই কারণে আগেই উপভোক্তা আইনের অধীনে বিক্রেতাদের তেল মজুতে ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে। তবে এবার ভোজ্য তেলের দামের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল কেন্দ্র সরকার।