পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ইসরাইলের ক্ষমতাসীন জোট থেকে ইয়ামিনা পার্টির একজন আইনপ্রণেতা পদত্যাগ করায় পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সরকার। বুধবার জোট ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন দলটির আইনপ্রণেতা ইদিত সিলমান। ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোটে থাকা একমাত্র আরব মুসলিমের দল ইয়ামিনা পার্টি। জোটটির বর্তমান ৬০টি আসন রয়েছে– যা বিরোধীদেরও প্রায় সমান।
ক্ষমতায় আসার মাত্র নয় মাসের মাথায়ই দেশটির সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে নাফতালি বেনেটের নেতৃত্বাধীন সরকার৷ এর ফলে পার্লামেন্টে জোটের সদস্য সংখ্যা কমে বিরোধীদের সমান অর্থাৎ ৬০ জনে দাঁড়িয়েছে৷ এই ঘটনার কারণে ক্ষমতায় আসার এক বছরে মাথায়ই বেনেট সরকারের পতন ঘটতে পারে৷জোটের চেয়ারপার্সনের দায়িত্বে থাকা সিলমান ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে মতবিরোধের জেরে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন৷
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন– ‘আমি ঐক্যের চেষ্টা করেছি৷ এই জোটের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি৷ দুর্ভাগ্যজনকভাবে– ইসরাইলে ইহুদি পরিচয় ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কিছুতে আমি অংশ নিতে পারব না৷’ পদত্যাগের পর তিনি ডানপন্থি নতুন জোট গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন বলেও বিবৃতিতে জানান৷
তার সিদ্ধান্তকে এরইমধ্যে স্বাগত জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু৷ এক ভিডিও বার্তায় তিনি সিলমানকে তার দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান৷ তবে আবারো সরকার গঠন করতে হলে নেতানিয়াহুকে নেসেটের অন্তত ৬১ জন সদস্যের সমর্থন লাগবে– যা এই সময়ে তার দলের নেই৷
সিলমানের পদত্যাগ নিয়ে এখনো মুখ খোলেননি প্রধানমন্ত্রী বেনেট৷ বর্তমানে ১২০ আসনের পার্লামেন্টে তার দলের সদস্য সংখ্যা মাত্র পাঁচটি৷ দীর্ঘ রাজনৈতিক সংকটের পর গত জুনে ডান এবং বামপন্থি মিলিয়ে মোট আটটি রাজনৈতিক দলকে এক করে বেনেট সরকার ক্ষমতায় আসে৷ প্রথমবারের মতো জোট সরকারে দেশটির একটি আরব দলও অংশ নেয়৷ সিলমানের পদত্যাগের কারণে ইসরাইলকে মাত্র তিন বছরের মধ্যে পঞ্চম নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে কিনা তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না৷