পুবের কলম প্রতিবেদক: ভরা বর্ষাকাল হলেও সেভাবে দেখা নেই বৃষ্টির। মধ্যেমধ্যে কোথাও কোথাও এক পশলা বৃষ্টি হলেও, নিমেষেই তা উধাও হচ্ছে। তবে এবার আশারবাণী শোনাল আবহাওয়া দফতর। পূবাভাস বলছে, সপ্তাহান্ত থেকে বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। বুধবার সকালে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৬৬ থেকে ৯৪ শতাংশ।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখার পশ্চিমাংশ ক্রমশ সরে আসবে নিম্ন চাপের কাছাকাছি। মৌসুমী অক্ষরেখা জয়সালমীর আজমের গুনা জবলপুর পেনড্রা রোড সম্বলপুরের পর দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের নিম্নচাপ এলাকারওপর দিয়ে পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্বদিকে এগিয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর ফলে বৃহস্পতিবার ২৭ জুলাই থেকে বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার এই তিন জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে দু’ এক পশলা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি উপরের দিকের এই পাঁচ জেলাতে বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা। তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। শুক্রবারের পর বৃষ্টি কমতে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে।
অন্যদিকে, আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় দিনে ও রাতে অস্বস্তি হবে। তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হবে না। আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
দক্ষিণবঙ্গে একদিকে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি, অন্যদিকে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি। ২৯ জুলাই শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গে।
এদিকে রাজস্থান ও সংলগ্ন এলাকায় এবং মধ্যপ্রদেশ বিদর্ভ ছত্তিশগড় সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধপ্রদেশ সংলগ্ন উপকূলে এই নিম্নচাপের অভিমুখ। শক্তি বাড়িয়ে আগামী ২৪ ঘন্টায় এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। উত্তর-পশ্চিম দিকে এই নিম্নচাপ এগিয়ে যাবে। আজ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।