পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: থাইল্যান্ডের এক ক্লিনিকে ফেসিয়াল করিয়ে নিজের সর্বনাশ নিজেই ডেকে আনলেন এক মহিলা। সুন্দর হওয়া তো দূরের কথা ফেসিয়াল করে মুখের ত্বক পুড়ে গেল ওই মহিলার। কপাল থেকে থুতনি পর্যন্ত লাল দাগ হয়ে গেছে।
ইসাদা আইসিরি একজন টেলিভিশন সঞ্চালিকা। ইসাদা একটি ট্রিটমেন্ট ক্লিনিকে গিয়ে বোচ থাই লেজার ফেসিয়াল করান। গত একমাস আগে তিনি ব্যাংককের একটি ক্লিনিকে ব্রণ নিরোধক এবং লেজার চিকিৎসা করাতে যান। প্রক্রিয়া চলাকালীন, হঠাৎ করে তীব্র গরম অনুভব করেন। কিন্তু তিনি মনে করেন এটি চিকিৎসার একটি পদ্ধতি হবে। দীর্ঘ সময়ের পর ইসাদা বুঝতে পারেন, তার সঙ্গে কিছু ভুল হচ্ছে। তিনি দেখেন তার মুখ পুড়ে গিয়ে বীভৎস চেহারা নিয়েছে।
ক্লিনিকের এক কর্মী তাকে স্টেরয়েড খাওয়ার জন্য দেন। ইসাদা জানান, তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আগেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইসাদার কপাল ও গালে লাল ও গাঢ় খয়েরি রংয়ের পোড়া দাগ দেখা যায়।
যেহেতু তিনি একজন টিভি সঞ্চালিকা হওয়ার জন্য এই অবস্থা নিয়ে তাকে কাজ করে যেতে হয়। এমনকী এই অবস্থায় তিনি তার নির্ধারিত স্কুবা ডাভিং বাতিল করেন, কারণ ইসাদা মনে করেছিলেন সূর্ষের আলো তার চেহারার আরও ক্ষতি করবে। ঘটনার পরেও ওই ক্লিনিং থেকে ইসাদার ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক ঠিক করে দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। ইসাদা প্রত্যাখ্যান করেন। ক্লিনিকের কর্মীরা জানিয়েছেন, এই ধরনের চিকিৎসা নতুন আনা হয়েছিল। তাই তারা এই নয়া পদ্ধতির সম্পর্কে কিছু জানতেন না।
ইসাদা জানান, যে ক্লিনিকের আইনজীবী তার অভিযোগ স্বীকার করে তাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ফোন করেন। এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি। গত ২২ সেপ্টেম্বর অনলাইনে চিকিৎসক, ক্লিনিকের কর্মীরা তার কাছে ক্ষমা চান। কিন্তু ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাকে কিছুই জানাননি। আপাতত বহু টাকা খরচ করে তিনি সুস্থ আছেন, তবে দাগগুলো এখনও মেলায়নি। ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন ইসাদা