পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : প্রায় পনেরো দিন আগে জানা গিয়েছিল তালিবানের সুপ্রিম লিডার হায়বাতোল্লা আখুন্দজাদা আর বেঁচে নেই।পশ্চিমা মিডিয়া অবশ্য এমন খবর বহু বার সামনে এনেছে। একসময় তারা ‘বাগদাদির’ মৃত্যুর ‘রুটিন’ খবর সামনে আনত। সেই মিডিয়া থেকে খবর কপি করে বহু মিডিয়া মাঝে মাঝেই বাগদারির মৃত্যুর খবর প্রকাশ করত। দিন কতক পরপরই তার মৃত্যুর আর একটা খবর প্রমাণ করত বাগদাদি তাহলে বেঁচে ছিল।এইভাবে কতদিন যে তার বাঁচা-মরার খবর প্রচারিত হয়েছে,তার হিসাব নেই। অনেকে বলে পশ্চিমা মিডিয়া নাকি এটা সচেতনভাবেই করে। যাই হোক কান্দাহারে বহাল তবিয়তেই দেখা গেল তালিবান সুপ্রিমোকে ।
গত আগস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতার হস্তান্তর হয়। তালিবানের হাতে যায় ক্ষমতা। এতবড় একটা ঘটনার পরও জনসমক্ষে আসেনি আখুন্দজাদা।ফলে পশ্চিমা মিডিয়া এমন একটা খবর খাইয়ে দিতে পেরেছিল। তালিবানের এক সিনিয়র নেতা দাবি করেছেন, কান্দাহারের জামিয়া দারুল আলম হাকিমিয়া নামের এক ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শনিবার হাজির ছিলেন আখুন্দজাদা।সংবাদ সংস্থা রয়টার্সও তেমনটাই জানিয়েছে ।
বাগদাদির মত আখুন্দজাদাকে নিয়ে এমন ধন্দ আজকের নয়। আসলে ২০১৬ সালের পর থেকে কখনওই জনসমক্ষে আখুন্দজাদাকে দেখা যায়নি। ফলে সেই সময় থেকেই তাঁর বেঁচে থাকা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। মিডিয়া ধরেই নিয়েছিল যে অনেকে দিন যখন দেখা যাচ্ছে না, তখন তিনি আর বেঁচে নেই। আজকের দিনে এটা একটা বড় সমস্যা। যেকোনও মিথ্যা, পক্ষপাতদুষ্ট ও ভুল খবর ছড়িয়ে পরে নিমেষে।
দিন পনেরো আগে তালিবান নেতা মুমিনিন জানিয়ে দেয়, “পাকিস্তানি বাহিনীর কষা ছকেই একটি আত্মঘাতী হামলায় গত বছর শহিদ হয়েছে হায়বাতুল্লা আখুন্দজাদা।” কিন্তু সেই কথা যে ঠিক নয়, তা প্রমাণ হয়ে গেল শনিবার। কেননা এবার তালিবানের তরফে সরকারি ভাবে স্বীকার করা হল আখুন্দজাদার উপস্থিতির বিষয়টি।