ওয়াশিংটন, ১৫ নভেম্বর: চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শেষবার আমেরিকায় গিয়েছিলেন ২০১৭ সালে। তারপর আবার ৬ বছর পর দেশটিতে গেলেন তিনি। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে বসার কথা তাঁর। বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পর জিনপিং যোগ দেবেন এশিয়া প্যাসিফিক ইকনমিক কো-অপারেশন ফোরামের বৈঠকে। এ বৈঠক এমন সময় হচ্ছে যখন তাইওয়ান প্রণালীকে ঘিরে চিনের পদক্ষেপ আরেকটি বড় যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে। বুধবার চিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈঠকে এ বিষয়টি আলোচনার প্রধান বিষয় হতে পারে। স্পর্শকাতর তাইওয়ান প্রণালীতে চিনের একটি নৌবহরের ওপর নজর রাখছে তাইওয়ানের সেনা। চিনা বিমানবাহী রণতরী শ্যানডং এপ্রিল মাসে তাইওয়ানের আশপাশে পরিচালিত চিনা সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়। এরপর গত মাসে আবার প্রশান্ত মহাসাগরে প্রবেশ করে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানায়, চিনা রণতরীগুলো বুধবার সংকীর্ণ তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করে। এ নিয়েই দুই দেশের বিবাদ চলছে। চিন বলছে, তাইওয়ান প্রণালীটি কোনও আন্তর্জাতিক পানিপথ নয়, এটি তার একক সার্বভৌম এলাকা। তবে চিনের এই দাবি মানতে নারাজ তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই এই প্রণালী দিয়ে রণতরী পাঠায়। গত সপ্তাহেই তারা একটি রণতরী পাঠিয়েছিল, এ সময় কানাডার একটি ফ্রিগেটও ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে চিনা ক্যারিয়ারের ওপর নজর রাখার জন্য একটি বাহিনী পাঠায় তাইওয়ান। তবে এ ব্যাপারে তারা বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। উল্লেখ্য, চিন সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ানের কাছাকাছি এলাকায় সামরিক তৎপরতা জোরদার করেছে। চিন দাবি করে যে তাইওয়ান তারই অংশবিশেষ। তবে তাইওয়ান তা মানে না। তাই চিনের এই কর্মকাণ্ড উত্তেজনা বৃদ্ধি করে চলেছে ওই অঞ্চলে। থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ডিফেন্স প্রায়োরিটিসের এশিয়া এনগেজমেন্টের ডিরেক্টর লাইল গোল্ডস্টেইন বলেন, ‘এটি খুব উচ্চ পর্যায়ের উত্তেজনা। যুদ্ধ যে কোনও সময় ঘটতে পারে।’