পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন পাওয়ার পর আশার আলো জেগেছিল হেমন্ত সোরেনের মনে। কিন্তু সেই আশা অচিরেই নিভে গেল শীর্ষ আদালতের রায়ে। অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন না, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বুধবার ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেনের ইডি গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে আবেদন জানানো হয়। কিন্ত সেই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং সতীশচন্দ্র শর্মাকে নিয়ে গঠিত অবসরকালীন বেঞ্চ এদিন এই রায় দেয়। আদালতের কাছে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় ইন্ডিয়া জোট শরিক নেতা হেমন্ত সোরেনকে। আদালত জানায়, হেমন্ত সোরেন সুপ্রিম কোর্টের কাছে তথ্য গোপন করেছেন। বিচারাধীন আদালতে হেমন্ত একটি জামিনের আবেদন করেছিলেন। সে তথ্য শীর্ষ আদালতের কাছে গোপন করা হয়েছে। আমরা সেই ব্যক্তির আবেদন বিবেচনা করতে পারি না যার আচার-আচরণ ত্রুটিপূর্ণ।
আদালতের রায়ে স্পষ্ট হল যে, ঝাড়খণ্ডে মুক্তি মোর্চার নেতা ভোটের আগে আর প্রচারের সুযোগ পাচ্ছেন না। কপিল সিব্বলকে বেঞ্চ জানায়, আপনাদের আচরণ স্পষ্ট নয়। আপনাদের মক্কেল অনেক তথ্য লুকিয়েছেন।
উল্লেখ্য, জমি সংক্রান্ত আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করেছিল হেমন্তকে। গ্রেফতারির আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। ইডির গ্রেফতারিকে ‘বেআইনি’ বলে অভিযোগ করে শীর্ষ আদালতে আগেই আবেদন জানিয়েছেন হেমন্ত। সোরেনের কৌঁসুলি কপিল সিব্বলকে আবেদন খারিজ করে দেওয়া হবে বলে আদালত সতর্ক করে দেওয়ার পরই তিনি আর্জি প্রত্যাহার করে নেন।
গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট সোরেনকে বলেছিল, বিচারাধীন আদালত যখন অর্থ তছরুপের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে বলে জানিয়েছে, তখন কীভাবে আশা রাখছেন ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর।