পুবের কলম,ওয়েবডেস্কঃ সোমবার কেরল হাইকোর্টের ভিতরেই নিজের হাত কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা এক ব্যক্তির। ওই ব্যক্তির প্রেমিকা বলে দাবি করা মহিলা আদালতে তাঁকে প্রেমিক হিসাবে অস্বীকার করেন এবং তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে ফিরতে চাওয়ায় ওই ব্যক্তি কক্ষের বাইরে এসেই নিজের কব্জি কাটেন। এরপর নিজের গলা কাটারও চেষ্টা করলে পুলিশ আধিকারিকরা তাঁকে ধরে ফেলে। ঘটনাটি বিচারপতি অনু শিবরামণের কক্ষের বাইরে ঘটে, যখন মহিলা তাঁর বাবা মায়ের সঙ্গে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ওই ব্যক্তিকে প্রেমিকার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হয়। ওই পুরুষ এবং মহিলা গত একমাস ধরে একসঙ্গেই বসবাস করছিলেন।
এরপর ওই মহিলার বাবা তাঁর মেয়েকে বেআইনিভাবে আটকে রাখার অভিযোগে হেবিয়াস কর্পাস পিটিশন দায়ের করেন। বিচারপতি শিবরামণ এবং বিচারপতি সি জয়চন্দ্রণের বেঞ্চে এই মামলায় উভয়পক্ষের শুনানি হয়। মহিলা বেঞ্চকে জানান, ‘ভ্রাতৃস্নেহ’ ছাড়া ওই ব্যক্তির প্রতি তাঁর কোনও অনুভূতি নেই। ওই ব্যক্তির সঙ্গে সে (মহিলা) থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন কারণ, তাঁর সঙ্গে না থাকলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিল। মহিলা আরও জানান, তাঁকে প্রেমিকা বলে দাবি করা পুরুষটি বিবাহিত এবং তাঁকে বলেছিল যে স্ত্রীর সঙ্গে সে বিচ্ছিন্ন।
এরপর বিচারকদের তিনি জানান, তিনি তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গেই ফিরতে চান। বেঞ্চ এটি রেকর্ড করে এবং তাঁর বাবার আবেদন মঞ্জুর করে। শুনানি শেষ হওয়ার পর কক্ষ থেকে বেরিয়েই ওই ব্যক্তি ছুরি বার করে নিজের কব্জি কেটে ফেলেন। এরপর সে নিজের গলা কাটার চেষ্টা করলে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা তাকে ধরে ফেলে। এরপর ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার আগেই মহিলা নিজের এবং তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বেঞ্চ তাঁর বাসভবনে পর্যাপ্ত নজরদারি নিশ্চিত করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে, যাতে তারা কোনও বিপদে না পড়েন।